হল বন্ধ রেখেই ঢাবির চারুকলা অনুষদে পরীক্ষা চলছে

হল বন্ধ রেখেই ঢাবির চারুকলা অনুষদে পরীক্ষা চলছে
প্রতিবেদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল খুলে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার দাবি নিয়ে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই পরীক্ষা শুরু হয়েছে চারুকলা অনুষদে৷ অনুষদের ডিন বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তেই পরীক্ষা নিতে হচ্ছে৷
করোনার কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ জুলাই থেকে পুরোদমে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকেই ঠিকভাবে ক্লাস করতে পারেননি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ১০ ডিসেম্বর হুট করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেয় ২৬ ডিসেম্বর থেকে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা হবে, তবে করোনার কারণে হলগুলো বন্ধই থাকবে। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সব ছাত্রসংগঠন।
একাডেমিক কাউন্সিলের ওই সিদ্ধান্তের আলোকে ৩ জানুয়ারি থেকে চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। জানতে চাইলে অনুষদটির ডিন নিসার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩ জানুয়ারি থেকে চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ১০ জানুয়ারির মধ্যে বাকি বিভাগগুলোতেও পরীক্ষা শুরু হবে। আমরা লাফিয়ে লাফিয়ে গিয়ে তো আর পরীক্ষা নিচ্ছি না, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তেই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষা নিতে আমাদের একটি চিঠি দেওয়া হয়। ফরম পূরণের কিছু বিষয় থাকায় সব বিভাগে পরীক্ষা শুরু করতে একটু সময় লাগছে।’
নিসার হোসেন আরও বলেন, ডিসেম্বরে উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় বলা হয়, শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নাকি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে পরীক্ষা দিতে রাজি হয়েছে। এর ভিত্তিতে বিজ্ঞান অনুষদের কয়েকটি বিভাগে পরীক্ষা হয়েছে, সেখানে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তাঁদের থাকার ব্যবস্থা নিজেরাই করবেন। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হল খুলবে না, অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের আবাসনের দায়িত্ব কর্তৃপক্ষ নেবে না। তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকটি বিভাগে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, একই কারণে আমাদের অনুষদেও হচ্ছে।’
অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেওয়ায় আমরা নানা ধরনের সমস্যায় পড়ছি। বাসা ভাড়া করে বাইরে থাকতে হচ্ছে। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পাবলিক পরিবহনে যাতায়াতের ফলে করোনার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তা ছাড়া থাকা-খাওয়ার খরচও অনেক। এ মুহূর্তে টিউশনি বা খণ্ডকালীন চাকরি পাওয়াটাও কঠিন। হল খুললে আবাসনের সমস্যা থাকত না, নির্বিঘ্নে পড়াশোনাটা করা যেত। এখন গাদাগাদি করে মেসে থাকতে হচ্ছে, সেখানে পড়াশোনার পরিবেশ নেই। এমন অবস্থার মধ্যেই পরীক্ষার সরঞ্জাম রঙ, ক্যানভাস ইত্যাদি কিনতে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।’
এদিকে হল খোলার বিষয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে আবাসিক হল খোলার জন্য ‘জাতীয় সিদ্ধান্ত’ লাগবে। উপাচার্য আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এ বিষয়ে ‘হঠকারী সিদ্ধান্ত’ নেওয়া হলে বড় আকারের ঝুঁকি তৈরি হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে যে বাংলাদেশের জাতীয় সিদ্ধান্ত এক রকম আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরো জাতিকে অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷

নিসার হোসেন আরও বলেন, ডিসেম্বরে উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় বলা হয়, শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নাকি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে পরীক্ষা দিতে রাজি হয়েছে৷ এর ভিত্তিতে বিজ্ঞান অনুষদের কয়েকটি বিভাগে পরীক্ষা হয়েছে, সেখানে শিক্ষার্থীরা বলেছেন তাদের থাকার ব্যবস্থা নিজেরাই করবেন, কারণ বিশ্ববিদ্যালয় হল খুলবে না৷ অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের আবাসনের দায়িত্ব কর্তৃপক্ষ নেবে না৷ ‘কয়েকটি বিভাগে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, একই কারণে আমাদের অনুষদেও হচ্ছে ৷’

অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের একজন শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘হল বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেওয়ায় আমরা নানা ধরনের সমস্যায় পড়ছি৷ বাসা ভাড়া করে বাইরে থাকতে হচ্ছে৷ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পাবলিক পরিবহনে যাতায়াতের ফলে করোনার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে৷ তা ছাড়া থাকা-খাওয়ার খরচও অনেক৷ এই মুহূর্তে টিউশনি বা খণ্ডকালীন চাকরি পাওয়াটাও কঠিন৷ হল খুললে আবাসনের সমস্যা থাকত না, নির্বিঘ্নে পড়াশোনাটা করা যেত৷ এখন গাদাগাদি করে মেসে থাকতে হচ্ছে, সেখানে পড়াশোনার পরিবেশ নেই৷ এমন অবস্থার মধ্যেই পরীক্ষার সরঞ্জাম রঙ, ক্যানভাস ইত্যাদি কিনতে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়েছে৷’


এদিকে হল খোলার বিষয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে আবাসিক হল খোলার জন্য ‘জাতীয় সিদ্ধান্ত’ লাগবে৷ উপাচার্য আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এ বিষয়ে ‘হঠকারী সিদ্ধান্ত’ নেওয়া হলে বড় আকারের ঝুঁকি তৈরি হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে যে বাংলাদেশের জাতীয় সিদ্ধান্ত এক রকম আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরো জাতিকে অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷