এইচএসসিতে চট্টগ্রামে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪৫, এগিয়ে বিজ্ঞানে শিক্ষার্থীরা

চট্টগ্রামে হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজে শিক্ষার্থীদের উল্লাস
ছবি: সৌরভ দাশ

২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবারের পাসের হার ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ কমে গেছে। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান।

এ এম এম মুজিবুর রহমান জানান, এবার ১ লাখ ৩ হাজার ২৪৮ পরীক্ষার্থী ছিলেন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৯৪৯ জন। পাস করেছেন ৭৫ হাজার ৯০৩ জন। জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৩৯ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৩ হাজার ৪৫৪। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ দুটোই কমেছে। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ। জিপিএ–৫ পেয়েছিলেন ১২ হাজার ৬৭০ জন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি ছাড়া সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে।

শুধু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ছাত্র পাসের হার ৭১ দশমিক ২৪ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৭৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন ১৫ হাজার ৯১২ পরীক্ষার্থী।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম জেলা ছাড়া কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার পরীক্ষার্থীরাও অংশ নেন। এ বছর কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৭০ দশমিক ৩৮। রাঙামাটি জেলায় পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬২, খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৬২ দশমিক ২৭, বান্দরবান জেলায় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৮১।

বিভাগভিত্তিক ফলাফলে এ বছর এগিয়ে আছেন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এবার বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, মানবিকে পাসের হার ৬৫ দশমিক ২২ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

তথ্যমতে, এবার ১১৩ কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন। ১২টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। গতবার এ সংখ্যা ছিল ১৬টি। একজনও পাস করেনি এমন কলেজ তিনটি। কলেজগুলো হলো, চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও এলাকার ন্যাশনাল পাবলিক কলেজ, খাগড়াছড়ির মহালছড়ির বৌদ্ধ শিশুগড় স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও মাটিরাঙ্গা মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ন্যাশনালে পরীক্ষার্থী ছিলেন ২১ জন, বৌদ্ধ শিশুগড়ে ছিলেন ৭ জন ও মাটিরাঙ্গায় ছিলেন ৭ জন।

আরও পড়ুন