এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যত নির্দেশনা

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষায় অংশ নেবেনছবি: প্রথম আলো

আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাতে অংশ নেবে। মোট ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে হবে এই পরীক্ষা। 

আরও পড়ুন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যত নির্দেশনা

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কেন্দ্রসচিব ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্য কেউ মুঠোফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রসচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্রেজারি বা থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহনের কাজে কালো কাচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে
প্রথম আলো ফাইল ছবি

এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি বা থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্রসচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশি পাহারায় সব সেট প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। তারপর পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী কেন্দ্রসচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হবে।

আরও পড়ুন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে নজরদারি

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস-সংক্রান্ত গুজব বা এ বিষয়ে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মুঠোফোন, মুঠোফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি ও কলম এবং পরীক্ষাকেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ, দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।