এইচএসসিতে চট্টগ্রামে পাসের হার ৮০.৫০

এবারের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের ৮০ দশমিক ৫০। জিপিএ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৫৬৪, ছাত্রী ৭ হাজার ১০৬। আজ বুধবার বেলা একটায় নগরের ষোলোশহর এলাকায় অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মিলনায়তনে এ ফলাফল প্রকাশ করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯৩ হাজার ৯৯৭ জন। এর মধ্যে উপস্থিত পরীক্ষার্থী ৯১ হাজার ৯৬০। পাস করেছেন ৭৪ হাজার ৩২ জন। উপস্থিত ছাত্রীর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫৪০, ছাত্র ৪৪ হাজার ৪২০। ছাত্রীর পাসের হার ৮২ দশমিক ৯২, ছাত্র পাসের হার ৭৭ দশমিক ৯২। এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন ১২ হাজার ৯৩৯ জন।

এবার ২৬৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় গত বছরের ৬ নভেম্বর সারা দেশে স্বাভাবিক পরিবেশে শুরু হয়েছিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। চট্টগ্রামে মোট ১১১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়। চট্টগ্রাম জেলা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দেন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ জানান, এবার বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯১ দশমিক ৩০, মানবিকে ৭৩ দশমিক ০৩, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৮৩ দশমিক ৮৩। চট্টগ্রাম নগরের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৪৮। নগর বাদে চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৭১। অন্যদিকে কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৯২।

এবারও পিছিয়ে তিন পার্বত্য জেলা

প্রতিবারের মতো এবারও ফলাফলে পিছিয়ে রয়েছে তিন পার্বত্য জেলা। রাঙামাটিতে এ বছর পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৩। খাগড়াছড়িতে সবচেয়ে কম, ৬৮ দশমিক ৭৮। অন্যদিকে বান্দরবানে পাসের হার ৮১ দশমিক ২০।

এই তিন জেলার বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ ফলাফল প্রকাশ করে বলেন, এ তিন জেলায় দক্ষ শিক্ষকের অভাব রয়েছে। ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষকের সংকট রয়েছে। এ কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে।