বাংলা: বিস্তৃত উত্তর–প্রশ্ন
প্রাথমিক বিদ্যালয়–শিক্ষার্থী মেধা যাচাই পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ৮ নম্বর প্রশ্ন থাকবে বিস্তৃত উত্তর প্রশ্নের ওপর। আজ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেওয়া হলো।
প্রশ্ন: কীভাবে রাজার প্রাণ রক্ষা পেল? বর্ণনা করো।
উত্তর: একজন অচেনা লোকের মন্ত্রের কারণেই রাজার প্রাণ রক্ষা পেল। অচেনা লোকটির বুদ্ধিতে সুচ রাজা ও রানি কাঞ্চনমালার কষ্ট দূর হয়। অচেনা লোকটির মন্ত্রবলে রাজার শরীরের সব কটি সুচ নকল রানির চোখেমুখে ও সারা শরীরে গেঁথে যায়। নকল রানি মারা যায়। আর রাজা সুস্থ হয়ে ওঠেন।
প্রশ্ন: রাজপুত্র ও রাখালের বন্ধুত্ব সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর: রাজপুত্র ও রাখালের বন্ধুত্ব সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য—ক. রাজপুত্র ও রাখাল ছেলের মধ্যে খুব ভাব। খ. তারা দুই বন্ধু পরস্পরকে খুব ভালোবাসে। গ. রাখাল রাজপুত্রকে বাঁশি বাজিয়ে শোনায়। ঘ. বাঁশির সুর শুনে রাজপুত্রের মন খুশিতে ঝলমলিয়ে ওঠে। ঙ. রাজপুত্র বড় হয়ে রাজা হলে রাখালকে মন্ত্রী বানাবে বলে প্রতিজ্ঞা করে।
প্রশ্ন: ঘাসফুল আমাদের কাছে কী মিনতি করছে এবং কেন করছে?
উত্তর: আমরা যেন ঘাসফুলদের ছিঁড়ে বা পায়ের নিচে পিষে ফেলে কোনো কষ্ট না দিই, ঘাসফুল সেই মিনতি করছে। ঘাসফুল ঘাসের ছোট ছোট ফুল। তারা খুব নরম। কিন্তু মানুষ খুব নিষ্ঠুর, তারা ফুল ছিঁড়ে ও পা দিয়ে পিষে দেয়। তাই আমরা ফুল ছিঁড়ে ও পায়ের নিচে পিষে যেন তাদের কষ্ট না দিই, সে জন্য মিনতি করছে।
প্রশ্ন: ‘প্রাণের চেয়েও মান বড়’—শিক্ষক এ কথা বললেন কেন?
উত্তর: শিক্ষক নিজের পা ধুয়ে পরিষ্কার করছিলেন। আর বাদশাপুত্র তাঁর পায়ে পানি ঢালছিল। বাদশা এটা দেখে ফেলেন। শিক্ষক প্রথমে ভাবলেন, তিনি অপরাধ করেছেন। কিন্তু তিনি ভাবলেন, তিনি বাদশাহর সামনে সত্যি কথাটাই বলবেন। তাতে যদি বাদশাহ তাঁর প্রাণ নিয়েও নেন, কোনো দুঃখ নেই। প্রাণের চেয়ে সম্মানটাই বড় কথা। কারণ, জীবনে সম্মান বজায় না থাকলে সে জীবনের কোনো মূল্য নেই।
প্রশ্ন: জগদীশচন্দ্র বসু কী যন্ত্র আবিষ্কার করেন? এটি দিয়ে তিনি কী প্রমাণ করেন?
উত্তর: জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন একজন বিখ্যাত গবেষক। বিজ্ঞানী হিসেবে তাঁর ছিল জগৎজোড়া খ্যাতি। তিনি নানা বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি ক্রেসকোগ্রাফ নামের একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। এই যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেন যে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে উদ্ভিদ প্রাণীদের মতোই সাড়া দেয়।
প্রশ্ন: বিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদানগুলো লেখো।
উত্তর: বিজ্ঞানে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদানগুলো নিচে দেওয়া হলো—১. উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনের মধ্যে অনেক মিল আছে, এটা গবেষণা করে দেখিয়েছেন। ২. অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি আবিষ্কার করেছেন। ৩. তার ছাড়া তরঙ্গ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণে সফলতা অর্জন করেন। ৪. তিনিই প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি ‘পলাতক তুফান’ লিখেছেন। ৫. তিনি ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। ৬. তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’।
প্রশ্ন: ‘দুই তীরে’ কবিতায় সকাল–সন্ধ্যাবেলা নদীর তীরে কী ঘটে?
উত্তর: ‘দুই তীরে’ কবিতায় সকাল–সন্ধ্যায় অনেক ঘটনা ঘটে। সকাল–সন্ধ্যাবেলায় নদীর তীর মানুষের কোলাহলে মুখর থাকে। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় নদীর ঘাটে গাঁয়ের বধূরা আসে। এ সময় যেন সেখানে বধূদের মেলা বসে। এ ছাড়া ছোট ছেলেরা নদীর জলে ভেলা ভাসিয়ে খেলা করে। এভাবে সকাল–সন্ধ্যা নদীর ঘাটে মানুষ কর্মব্যস্ত থাকে।
প্রশ্ন: বিদায় হজের ভাষণে রাসুল (সা.) আমাদের কী কী আদেশ দিয়ে গেছেন? বর্ণনা করো।
উত্তর: বিদায় হজের ভাষণে রাসুল (সা.) ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে আদেশ দিয়ে গেছেন। আল্লাহ ছাড়া কারও উপাসনা না করতে নির্দেশ দিয়েছেন। হত্যা, প্রতারণা ও অত্যাচার করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ অপহরণ করা থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছেন। ক্রীতদাসের প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। একজনের অপরাধের জন্য অন্যকে দায়ী করতে নিষেধ করেছেন।
প্রশ্ন: লোভী কাঠুরিয়া কেন হায় হায় করতে লাগল?
উত্তর: সৎ কাঠুরিয়ার গল্প শুনে লোভী কাঠুরিয়া একদিন নদীর ধারে কাঠ কাটতে যায়। ইচ্ছা করে সে তার কুড়ালটি পানিতে ফেলে দিয়ে কান্নার অভিনয় করে। তখন জলপরী এসে তাকে একটি সোনার কুড়াল দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা তার কুড়াল কি না। লোভী কাঠুরিয়া সেটাকে নিজের কুড়াল বলে দাবি করে। তার লোভ দেখে জলপরী ডুব দিয়ে আর ওঠে না। তখন লোভী কাঠুরিয়া হায় হায় করতে লাগে।
*লেখক: খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা