এসএসসি ২০২৫–এ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ
২০২৫ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষায় কিছু পরীক্ষার্থী প্রতিদিন অনুপস্থিত থাকছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। যেসব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছে, কিন্তু প্রথম দিন থেকেই অনুপস্থিত, তাদের তথ্য গুগল ফরমে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে। এ নির্দেশনা দিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় থাকা সব অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিদিন কিছুসংখ্যক পরীক্ষার্থী (ফরম পূরণকৃত) অনুপস্থিত থাকছে, যা উদ্বেগজনক। এই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এমন অবস্থায় আপনার প্রতিষ্ঠানের যেসব পরীক্ষার্থী ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিল, কিন্তু এক বা একাধিক বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে না বা প্রথম দিন থেকেই অনুপস্থিত আছে, তাদের তথ্য গুগল ফরমের মাধ্যমে (লিংক সংযুক্ত) আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর জন্য পৃথক পৃথক ছকে তথ্য পাঠাতে হবে। যতজন অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর তথ্য প্রেরণ করবেন, ততবার লিংকে ক্লিক করে পৃথক পৃথক ফরমে তথ্য পাঠাতে হবে। একজন পরীক্ষার্থীর জন্য একাধিক ছক বা ফরম পূরণ করা যাবে না। অনুপস্থিতির কারণ জানার জন্য পরীক্ষার্থী বা অভিভাবকের (বাবা/মা/পরিবারের অন্য কোনো সদস্য বা আইনত অভিভাবক) সঙ্গে সশরীর বা মুঠোফোনের মাধ্যমে আলোচনা করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
কোন কোন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত, তা জানার জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। চিঠিতে বিষয়টি অতীব জরুরি বলে জানানো হয়।
গুগল ফরমের লিংক:
১০ এপ্রিল সারা দেশে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। শিক্ষা বোর্ডগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখের বেশি, ২০২৩ সালে প্রায় সাড়ে ২০ লাখ, ২০২২ সালে প্রায় ২০ লাখ, ২০২১ সালে প্রায় সাড়ে ২২ লাখ ও ২০২০ সালে প্রায় সাড়ে ২০ লাখ পরীক্ষার্থী ছিল। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এই পরীক্ষার প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল ২৬ হাজার ৯২৮ পরীক্ষার্থী। দ্বিতীয় দিনে ১৫ এপ্রিল অনুপস্থিত ছিল ২৮ হাজার ৯৪৩ পরীক্ষার্থী।