স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট কারিকুলাম গড়া হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট কারিক্যুলাম গড়ে তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা স্মার্ট কারিকুলাম গড়ে তুলছি। নতুন শিক্ষাক্রমে আমরা সফট স্কিল গড়ায় জোর দিচ্ছি। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, সময়মতো কাজ করার মানসিকতা, দলগত কাজ করার, নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা গড়তে পুঁথিগত শিক্ষার পরিবর্তে আধুনিক এ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে সর্বজনীন দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে।’
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর প্যারেড মাঠে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত আন্তস্কুল-কলেজ বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বাংলাদেশের একটি অনন্য সিটি করপোরেশন উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই সিটি করপোরেশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাপক বিনিয়োগ করে। এ ক্ষেত্রে চসিক একটি মডেল সিটি করপোরেশন।
মেয়রকে মাঠ রক্ষার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘খেলার মাঠ দখল করে আমাদের মেলার প্রয়োজন নাই, খেলার প্রয়োজন। মাঠগুলোয় শিক্ষার্থীরা যাতে খেলতে পারে, এ জন্য চট্টগ্রামের মাঠগুলো রক্ষায় মেয়র মহোদয়কে এগিয়ে আসতে হবে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও যাতে খেলার সুযোগ পায়, সে বিষয়ে সচেষ্ট হতে হবে। আমাদের একটা সুষম উন্নয়নের জন্য তাদেরও মানসিক ও শারীরিক বিকাশ সবচেয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তারাও এগিয়ে যাবে ছেলেদের সঙ্গে মিলে এ জন্য আমরা কাজ করছি।’
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চসিকের ৮২টি স্কুলে ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। আমি চাই, শিক্ষার্থীরা ক্রীড়া, বিতর্ক ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে এগিয়ে যাক। এ জন্য চসিকের ইতিহাসে শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় এ আয়োজন করেছি।’ তিনি আরও বলেন, আমি চাই চট্টগ্রামের কোনো শিশু শিক্ষাবঞ্চিত না থাকুক। এ জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, যদি সম্ভব হয় চসিকের স্কুলগুলোকে এমপিওভুক্ত করুন, তাহলে আমরা আরও স্বল্প বেতনে আরও বেশি শিক্ষার্থীকে পড়াতে পারব।’
অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, চসিকের শিক্ষা স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ কাউন্সিলর, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমসহ বিভাগ ও শাখাপ্রধান, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী এবং চসিকের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।