মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত প্রার্থীদের সনদ যাচাই ২৭–২৯ জানুয়ারি

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শুক্রবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন কেন্দ্র, ১৭ জানুয়ারিছবি: দীপু মালাকার

সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল গতকাল রোববার প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফলে ৫ হাজার ৩৭২ পরীক্ষার্থী ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধাসহ সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের সনদ যাচাই করবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। কীভাবে সনদ যাচাই হবে, তা জানিয়ে আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন আজ ‍সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী কোটায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি যাচাই–বাছাই করবে। ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের সনদ যাছাই করা হবে।

এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত ভর্তি নীতিমালার ৯.৩ নম্বর অনুচ্ছেদে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর কোটার আসনে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি যাচাই–বাছাইপূর্বক অনুমোদনক্রমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৩ ও ২৬ জানুয়ারি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর কোটায় নির্বাচিত প্রার্থীদের এবং ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত আসনে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের কোটার সপক্ষে সনদ বা প্রমাণসহ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে (মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায়) উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।বর্ণিত কোটাগুলোতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের কোটা সংক্রান্ত দলিলাদি আগামী ২১ জানুয়ারি তারিখের মধ্যে সফট কপি ই-মেইলে ([email protected]) পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। যাচাই বাছাই শেষে দাখিলকৃত তথ্য মিথ্যা বা ভুল প্রমাণিত হলে প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে।

আরও পড়ুন

ই-মেইলে যা যা পাঠাতে হবে

  • ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র

  • এইচএসসি পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড

  • এসএসসি/সমমান পরীক্ষার সনদের কপি

  • এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বা নম্বরপত্র

  • এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাসের মূল সনদ ও প্রশংসাপত্র

  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি

  • স্থানীয় সিটি করপোরেশনের মেয়র/পৌরসভার মেয়র/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত মূল নাগরিক সনদ। আবেদনকারীর পিতা/মাতার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রদত্ত সনদের কপি। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ৪৮.০০.০০০০.০০৩.২৫.০১৯,২০,৮৭৫ তারিখ ১৮/১০/২০২০ সালে জারিকৃত বিধি বিধান অনুসরণ করা হবে।

  • চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি

  • মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্মারক নম্বর ৪৮.০০.০০০০.০০৩.২৫.০১৯.২০.৮৭৫ তারিখ ১৮/১০/২০২০ সালে জারিকৃত বিধিবিধান অনুসরণ করা হবে।

  • পার্বত্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ এবং জেলা প্রশাসকের সনদ ও অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চিফ বা জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদ। অন্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গোত্রপ্রধান ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদ।

আরও পড়ুন

ভর্তি শুরু কবে

সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর তিন পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা এক সরকারি কলেজ থেকে অন্য সরকারি কলেজে মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবেন। সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি শেষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি শুরু হবে।

দেশে মেডিকেল কলেজ আছে ১০৪টি। এর মধ্যে ৩৭টি মেডিকেল কলেজে আসন ৫ হাজার ৩৮০টি। অন্যদিকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আছে ৬৭টি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা ৬ হাজার ২৯৩।

ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ভালো করেছেন। ৪০ নম্বর পেয়ে পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন বা ৬৩ শতাংশ ছাত্রী এবং ২২ হাজার ১৫৯ জন বা ৩৭ শতাংশ ছাত্র।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন