উচ্চমাধ্যমিকের ৩ বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি, এখন ফলের অপেক্ষা
বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়া মাধ্যমিক (এসএসসি), উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পাসের সনদ দেওয়ার আইনি সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট তিনটি আইনের সংশোধনী জাতীয় সংসদে গত রোববার পাস হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তিনটি বিলেই সম্মতি দিয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে সংসদ সচিবালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর যেকোনো দিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বাসসের খবরে বলা হয়েছে, বিল তিনটি হচ্ছে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১ ’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ ও ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’।
২০২০ সালে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত বছরের অক্টোবরের শুরুর দিকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনীর মতো এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না। এসব শিক্ষার্থীর জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির মূল্যায়ন করা হবে।
তিনটি বিল পাসের দিনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তারা এক বছর সরাসরি ক্লাস করতে পারেনি। একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়, পরে কয়েক মাস সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর পাঠদান শেষে পরীক্ষা নেওয়া যাবে।
দীপু মনি বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির নিয়মিত ক্লাস হবে। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন করে আসবে। এদিন তারা পুরো সপ্তাহের পড়া নিয়ে যাবে। পরের সপ্তাহে আবার এক দিন আসবে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। শ্রেণিকক্ষে তাদের গাদাগাদি করে বসতে হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানো সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে আনার সুযোগ থাকবে না।