টেইক-হোম এক্সাম: করোনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর পরীক্ষার যৌক্তিক বিকল্প

প্রতীকী ছবি

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিক্ষার্থীদের ১ জুলাই থেকে সশরীর পরীক্ষা নেওয়ার, তবে সেটা হল না খোলার শর্তে। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায়, সেটা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারেও বিভাগগুলোকে অনুমতি দেওয়া আছে, তবে সেখানেও নানারূপ জটিল শর্ত আরোপ করা আছে।

এখন এ সিদ্ধান্তগুলো ঠিক কতটা যৌক্তিক, কতটা অযৌক্তিক এবং বিকল্প কোনো ব্যবস্থা এ সময়ে গ্রহণ করা যেতে পারে কি না—সেই ব্যাপারে নিজস্ব মতামত তুলে ধরছি।

প্রথমেই আসি হল না খুলে সশরীর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে। একদম দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলছি, হল না খুলে যদি সশরীর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে তা শুধু অযৌক্তিকই হবে না, বরং তা হবে শিক্ষার্থীদের প্রতি করা রীতিমতো একটা অন্যায্য কাজ।

প্রতিবছর একেকটা সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমপক্ষে ছয় হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হন। তাতে অনার্সের চার বছর এবং মাস্টার্সের এক বছর মিলিয়ে একেবারে ন্যূনতম হলেও ৩০ হাজার শিক্ষার্থী আছেন, যাঁরা বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমাণ থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ডেটা সংরক্ষিত আছে, সেগুলো একটু চেক করলেই দেখা যাবে, এই মোট শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই কিন্তু ঢাকার বাইরের দূরদূরান্ত থেকে আসা। এখন হল না খুলে যদি শিক্ষার্থীদের সশরীর পরীক্ষা নেওয়া হয়, এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী ঢাকা এসে থাকবেন কোথায়?

আর একটা কথা ভুললে চলবে না, এই শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই কিন্তু স্ট্রাগলিং ফ্যামিলি থেকে উঠে আসা। কথাটা মনে হয় শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, বরং অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হালচাল প্রায় একই ধারার। অন্য সময় টিউশনি করিয়ে অন্তত নিজেদের খরচ নিজেরা চালিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা থাকলেও, করোনার জন্য বর্তমানে সেই সুযোগও নেই। তা ছাড়া ঢাকায় এসে মেস বা ভাড়া বাসা নিয়ে থাকার সামর্থ্য কজনের আছে?

করোনার সময়ে এমনিতেই প্রায় প্রত্যেকের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। তা ছাড়া এ শহরে ব্যাচেলরদের জন্য বাসাভাড়া পাওয়াটাও কিন্তু খুবই দুরূহ কাজ। আবার মেস বা বাসা কিন্তু শুধু এক মাসের জন্য পাওয়া যায় না। অ্যাডভান্স টাকা পেমেন্ট করে মাস দুয়েকের জন্যও যদি কোনো সাধারণ মানের মেসে এসেও উঠতে হয়, তবু শুধু থাকা–খাওয়ার জন্যই একজন শিক্ষার্থীকে দুই মাসে গুনতে হবে ১২-১৫ হাজার টাকা। এ টাকা অনেকের কাছে খুবই সামান্য বিষয় হলেও স্ট্রাগলিং ফ্যামিলি থেকে আসা টিউশনহীন বেকার একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক বড় কিছু।
আরও একটি স্পর্শকাতর ব্যাপার হলো নিরাপত্তা ইস্যু, বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য। উল্লিখিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কিন্তু ৭-৮ হাজার মেয়ে শিক্ষার্থীও আছেন। আবাসিক হল ছাড়া বাইরে কোথাও থাকাটা একজন মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, ব্যাপারটাও বিবেচনায় রাখা উচিত। বাইরে থাকতে গিয়ে কোনোরূপ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় কি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে?

আর অনেকের ঢাকায় আত্মীয়স্বজন থাকলেও এই করোনার সময়ে বাসায় একজন অতিরিক্ত মানুষকে আশ্রয়দানের সুযোগ কিংবা মনোভাব না থাকাটাই কিন্তু স্বাভাবিক, তা ছাড়া সবার ওই রকম আত্মীয়স্বজনও নেই। সবকিছু মিলিয়েই হল না খুলে এত শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা হবে রীতিমতো অযৌক্তিক।

এবার আসি বর্তমান এ পরিস্থিতিতে হল খুলে পরীক্ষা নেওয়াটা সম্ভব কি না, এই ব্যাপারে। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার নীতিনির্ধারক এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যা হালচাল, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার ন্যূনতম কোনো ইচ্ছাও তাদের নেই। তা ছাড়া সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে দুই ডোজ টিকার আওতায় না এনে হল খোলার সম্ভাবনা বর্তমানে খুবই ক্ষীণ।

বলা হচ্ছিল যে চীনের টিকা সিনোভ্যাক নিয়ে এসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা এখন কবে নাগাদ হবে, সেখানে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে গেছে।

তা ছাড়া প্রথম টিকা থেকে দ্বিতীয় টিকার মধ্যে ন্যূনতম গ্যাপ দুই মাস। সে ক্ষেত্রে জুলাইয়ের প্রথমেও যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়, দ্বিতীয় ডোজ দিতে দিতে আগস্ট মাস চলে আসবে। অর্থাৎ, এই অনিশ্চয়তার দীর্ঘসূত্রতা বাড়তেই থাকবে, যদি হল খুলে সশরীর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তা ছাড়া বাস্তবতার নিরিখে দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি আবার ভয়ংকর রূপে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলায় ভারতীয় ডেলটা ভেরিয়েন্ট তো খুবই ভয়ংকর রূপে ছড়িয়ে গেছে। সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, নড়াইল, মেহেরপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, কুষ্টিয়াসহ বেশ কিছু জেলায় তিন সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের হার খুবই উচ্চ। এর মধ্যে কয়েকটি জেলায় তো পরীক্ষার সাপেক্ষে করোনা সংক্রমণের হার ৪০-৫০ শতাংশ। বেশ কিছু জেলায় লকডাউনও চলছে। ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলামুখী দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল আবার বন্ধ করা হয়েছে। ধরুন, কোনো কারণে যদি হল খোলার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় এখন, তাহলে ওই জেলাগুলোর শিক্ষার্থীদের কী হবে? ওই সব জেলার শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসে যদি সবার সঙ্গে মিশতে দেওয়া হয়, তাহলে তো অবস্থা ভয়ংকর হয়ে উঠতেও পারে।

তা ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ বার্তা অনুযায়ী, করোনার পরিস্থিতি শিগগিরই উন্নতির কোনো অনুমান তাদের কাছে নেই। তাহলে এসব বিচার–বিবেচনায় বাস্তবতার নিরিখে এটা বলা যায় যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল খোলার ব্যাপারে এই মুহূর্তে হয়তো রাজি হবে না। যারা গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত করোনা যখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখনই হল খুলে স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করতে পারেনি, তারা এই মুহূর্তে যখন সংক্রমণের বেশ উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে, তখন হল খুলবে, এমন আশা করাটাই কেন যেন অনুচিত মনে হয়।

এখন বর্তমান সময় এবং পরিস্থিতি সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়াটাই সবচেয়ে যৌক্তিক বলে মনে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গত বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ আছে। এ অচলাবস্থা অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতেই থাকবে, এমনটা মোটেই কাম্য নয়। যেহেতু সরাসরি পরীক্ষা নিতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে, সেহেতু অনলাইনে পরীক্ষা নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেগুলো মূল্যায়ন করে ফল ঘোষণা করতে পারলে, ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। কিন্তু অনলাইন পরীক্ষা নিতে গিয়ে টেকনিক্যাল নিয়মকানুনের ক্ষেত্রে যদি খুব বেশি কড়াকড়ি করা হয়, তাহলে সেটা আবার অনেকের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে, এ ব্যাপারও স্মরণ রাখতে হবে খুব গুরুত্বের সঙ্গে।

কারণ, দেশের দূরদূরান্তের বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেটের অবস্থা খুব একটা সুবিধার না। পাশাপাশি অনেকের আবার মানসম্মত ডিভাইসের সমস্যা আছে। এসব সমস্যা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় এক বছর ধরে কাগজে–কলমে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও, বাস্তবে তা খুব একটা আলোর মুখ দেখতে পারেনি বা যতটুকু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা কোনোমতেই যথেষ্ট নয়।

কাজেই একেবারে স্বাভাবিক সময়ের পরীক্ষার আদলেই যদি একেবারে নির্দিষ্ট সময় ধরে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাহলে কিছু শিক্ষার্থীর জন্য তা ডিসক্রিমিনেশন হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যা সমাধানকল্পে নানা রকম বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে, পরীক্ষা অনলাইনেই হবে, তবে পদ্ধতিটা কিছুটা আলাদা রকমের হতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম পদ্ধতি গ্রহণ করা হচ্ছে, এ রকম একটি পদ্ধতি হলো টেইক-হোম (Take-Home) এক্সাম।

অনলাইন পরীক্ষা মানে যদি এমন হয় যে সেই ট্র্যাডিশনাল পরীক্ষার মতোই দেড় বা দুই ঘণ্টার পরীক্ষা হবে এবং এই সময়ের মধ্যে উত্তর লিখে ইন্সট্যান্ট স্ক্রিপ্ট সাবমিট করতে হবে, তাহলে যাঁদের ইন্টারনেট অথবা মানসম্মত ডিভাইসের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে পরীক্ষার জন্য অনলাইনে সংযুক্ত থাকা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। পরীক্ষা দিয়ে তাৎক্ষণিক সবমিট করতে অনেক সময় সমস্যা হতেই পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক। এসব সমস্যা নিরসন করা সম্ভব এ Take-Home Exam ব্যবস্থায়।

অনেকে মনে করে থাকেন, Take-Home Exam আর Assignment System বোধ হয় একদম এক। প্যাটার্নটা একই রকম হলেও দুটি পদ্ধতির মধ্যে একেবারে মৌলিক কিছু পার্থক্য আছে। সাধারণত Assignment system–এ অনেক লম্বা একটা সময় দেওয়া হয়, কখনো কখনো ৮-১০ দিন বা তার বেশি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বর্ণনামূলক কোনো বিষয় থাকে। আর Take-Home Exam সিস্টেমে সময় বেঁধে দেওয়া হয় সাধারণত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা, আর প্রশ্নও থাকে একদম এনালিটিক্যাল। অর্থাৎ, ওপেন বুক সিস্টেমে পরীক্ষা হলেও এতে কোনো অসাধু সুবিধা পরীক্ষার্থীরা নিতে পারেন না। কারণ, প্রশ্ন যদি এনালিটিক্যাল হয়, তাহলে বই থেকে সরাসরি কপি করে উত্তর দেওয়াও সম্ভব হবে না। Take-Home পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলে নিরবচ্ছিন্নভাবে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকার দরকার হয় না। পরীক্ষাটা হয় ওপেন বুক বেসিসে এবং যেহেতু পর্যাপ্ত সময় হাতে থাকে, তাই উত্তরপত্র সাবমিট করার সময় যদি হঠাৎ করে ইন্টারনেট সমস্যা বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তবু তেমন কোনো সমস্যা হয় না। এই ওপেন বুক এক্সাম সিস্টেম বিশ্বের বহু নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়েও চালু আছে। বেশি দূর যেতে হবে না, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের নয়াদিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ও ওপেন বুক সিস্টেমে পরীক্ষা নিচ্ছে।

আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটা ব্যাপার মাথায় রাখা উচিত, এটা আপৎকাল। এ সময়ে পলিসির নামে এমন জটিল কোনো নিয়ম চালু করা উচিত নয়, যেখানে ভোগান্তি কমার বদলে উল্টো বেড়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা কেউ তো আর অটোপাস চাচ্ছেন না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থা তো আর এসএসসি বা এইচএসসি টাইপেরও নয়, যেখানে একটা পরীক্ষাই একটা ডিগ্রির সার্টিফিকেট নিয়ে আসে। অনার্স লেভেলের ক্ষেত্রে ৪ বছরের ৮টি সেমিস্টার ফাইনাল অথবা ৪টি ফাইনাল পরীক্ষার সমন্বয়ে একটা ডিগ্রির ফলাফল হয়। তা ছাড়া ইনকোর্স, টিউটোরিয়াল, ভাইবাসহ আরও নানা রকম পরীক্ষার মধ্য দিয়ে একেকটা কোর্সের ফল আসে। কাজেই আপৎকালীন একটা বছরের ফাইনাল অথবা সেমিস্টারের ফলাফলই তো সব নয়। একজন শিক্ষার্থীর ডিগ্রির হিসাব হয় তার সব কটি বছরের সব পরীক্ষার সার্বিক হিসাব–নিকাশ করে।

এখন সব কথার শেষ কথা হলো, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কীভাবে চিন্তাভাবনা করছে। সময়ের পরিবর্তনের পাশাপাশি তাদেরও পদ্ধতিগত চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হওয়াটা আবশ্যক, বিশেষ করে করোনা অতিমারি মোকাবিলা করে শিক্ষাব্যবস্থাকে ট্র্যাকে রাখতে। তা না হলে করোনা অতিমারিতে শিক্ষাব্যবস্থায় যে মহাসংকট তৈরি হয়েছে, সেটা উতরানো অসম্ভবপ্রায় হয়ে উঠবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিদ্রুত এই ব্যাপারে সদয় দৃষ্টি দিলে তা ছাত্র-শিক্ষক-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সর্বোপরি দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার জন্যই মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসবে বলে মনে করি।

*লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ২০১৬ সালের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম।