তিন দফা দাবিতে প্রধান সমন্বয়ককে সাত কলেজশিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্যদের পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দেওয়াসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্যদের পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দেওয়াসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বরাবর এসব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপি দিতে গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান সাত কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী। দুপুর ১২টার দিকে তাঁদের দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামালের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।

সাত কলেজের এসব শিক্ষার্থীর অন্য দুই দাবি হলো সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে পরীক্ষা নেওয়া ও সাত কলেজে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা। স্মারকলিপি দেওয়া শিক্ষার্থীদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল আমাদের দাবি পূরণের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বসে এসব দাবি পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। শিক্ষার্থীদের জন্য যা কল্যাণকর, তা-ই করা হবে।

২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রকাশিত ফলাফলে সাত কলেজের সব বিভাগের অধিকাংশই তিন বিষয়ে অকৃতকার্য। করোনাকালে জীবনের তিন বছর নষ্ট হওয়ার সম্মুখীন এই শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করে বাধিত করবেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমাতে ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এই সাত কলেজ কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হওয়ার পর এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা প্রথমে উল্লসিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেশনজট ও গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণে এক বছর না যেতেই সেই উল্লাস ফিকে হয়ে যায়। কয়েক দফায় আন্দোলনেও নামেন রাজধানীর এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা।