সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে সান্ধ্য কোর্সে ভর্তির আয়োজন

ফাইল ছবি

নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সান্ধ্য কোর্সে ভর্তি-কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদ (একাডেমিক কাউন্সিল)। কিন্তু নীতিমালা হওয়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সান্ধ্য এমবিএ কোর্সে ভর্তির পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ।

আগামীকাল শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ প্রোগ্রামের ৪৫তম ব্যাচের ভর্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ পরীক্ষা হওয়ার কথা। এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে অনুষদভুক্ত ৯টি বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন।

কিন্তু এ পরীক্ষার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। দুজনেই প্রথম আলোকে বলেছেন, সান্ধ্য কোর্স নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ কোর্সের নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের পরীক্ষা হওয়ার কথা নয়।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা পরিষদের সভায় সান্ধ্য কোর্সসহ অনিয়মিত সব কোর্সে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির সব ধরনের কার্যক্রম পাঁচ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে সান্ধ্য কোর্স পরিচালনার জন্য একটি সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্যকে (শিক্ষা) প্রধান করে ১৮ সদস্যের কমিটি করা হয়েছিল। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নীতিমালার কাজ শেষ করা যায়নি।

সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, সান্ধ্য কোর্সের নীতিমালার কাজ এখনো শেষ হয়নি। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের পরীক্ষার কোনো বৈধতা নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অনিয়মিত কোর্সগুলোর যৌক্তিকতা যাচাই ও পর্যালোচনার জন্য গঠিত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে এসব কোর্সে প্রতিবছর ৪৫টি ব্যাচে ২ হাজার ৯৬৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন। ক্লাস নেন ২৩০ জন শিক্ষক। অভিযোগ রয়েছে, সান্ধ্য কোর্সের কারণে শিক্ষকেরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রতি কম মনোযোগী থাকেন।

কালকের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কথা বলার জন্য আজ ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সান্ধ্য এমবিএ প্রোগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক মুহাম্মাদ আবদুল মঈনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
তবে অনুষদের দুটি বিভাগের একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানালেন, শুক্রবার (কাল) অনুষ্ঠেয় ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের জন্য ডিন কার্যালয় থেকে তাঁদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।