জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ আগস্ট থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ আগস্ট থেকে অনলাইনে ক্লাস চলবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যদের সর্বসম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভাটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।

এদিকে গত মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ছাত্রীদের আবাসিক হলও খুলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অনলাইনে ক্লাস শুরুর বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতামত প্রকাশ করছে। তাঁরা সশরীর ক্লাস শুরু চাইছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ছাত্র আহসান হাবীবসহ নিহত সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক ও তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।

পরিবর্তিত পরিস্থিতি উল্লেখ করে বলা হয়, দেশে যে মানবিক বিপর্যয় চলমান বিশেষ করে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর যে আক্রমণ চালানো হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতি ঘটেছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

একই সঙ্গে দেশব্যাপী সহিংসতার ঘটনায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নষ্ট করাসহ দেশব্যাপী মহান মুক্তিযুদ্ধের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা, বিভিন্ন জাদুঘরে হামলা, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভাস্কর্যসমূহ ধ্বংস করা এবং দেশব্যাপী চলমান হামলা, হত্যা, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতি তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

একই সঙ্গে সভায় ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদ, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পদ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন, জাদুঘর এবং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ম্যুরালসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বহনকারী সব স্থাপনার যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। একই সঙ্গে দেশের জানমাল ও সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম প্রথম আলোকে বলেন, শুরুতে কয়েক দিন অনলাইনে ক্লাস হলেও দ্রুত সশরীর ক্লাস চালু হবে। পরিবর্তিত অবস্থায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, আস্থা, মানসিক বিষয়গুলো বিবেচনা নিয়ে সশরীর ক্লাস শুরু হবে।