বিদ্যালয়ের সময়সূচি পরিবর্তনের কথা একদমই ভাবা হচ্ছে না: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হলেও বিদ্যালয়ের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনার কথা একদমই ভাবা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, খুব অল্প সময়ের জন্য একটি নির্ধারিত বিষয়কে বদলানো যুক্তিসংগত হবে না। লাখ লাখ শিক্ষার্থীর সময় বদলানো, আবার ফিরিয়ে আনলে সমস্যা হবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইরাব) একাংশের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা সরকারি অফিসের সময় এক ঘণ্টা কমানোর পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করেছে সরকার। ২২ আগস্ট এই সিদ্ধান্ত হয়। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা খসড়া অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনির মাধ্যমে পাঠদানের জন্য কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা নিষিদ্ধ বলে গণ্য হবে না। তবে কোচিং সেন্টারে কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে পারবেন না। এমনকি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেটও পড়াতে পারবেন না। কোচিং চালাতে গেলে নিবন্ধন নিতে হবে।

তবে সরকার নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে ও অভিভাবকদের সম্মতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রমের বাইরের সময় অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা যাবে। অবশ্য এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশ রয়েছে। কিন্তু এটি যথাযথভাবে মানা হয় না। অভিযোগ আছে, শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনির প্রতি ঝোঁক বেশি।

মতবিনিময়কালে শিক্ষার আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ সময় ইরাবের একাংশের সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামানসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।