আইইউবিতে মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স ও এনডেনজার্ড ল্যাংগুয়েজেস সেন্টার উদ্বোধন

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত আইইউবি ক্যাম্পাসে সেন্টার দুটির উদ্বোধন করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-তে উদ্বোধন হলো ‘সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স’ এবং ‘সেন্টার ফর এনডেনজার্ড ল্যাংগুয়েজেস’। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত আইইউবি ক্যাম্পাসে সেন্টার দুটির উদ্বোধন করা হয়। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ আনুষ্ঠানিকভাবে সেন্টার দুটির উদ্বোধন করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ সময় গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য দিদার এ হুসেইন। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্স’ সৃষ্টি হয়েছে দেশীয় ভাষা এবং বিদেশি ভাষা সমৃদ্ধ করার জন্য। আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলনের সূচনা এই ভাষাকে কেন্দ্র করেই। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বহু ভাষাভাষীর দেশ। দেশে ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আছে। তাদের ভাষাকে সংরক্ষণ করার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সেখানে কাজ করে। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন নিজের ভাষা জানাটা জরুরি, তেমনি তাদের জন্য বিদেশি ভাষা শেখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। 

আইইউবি বোড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আজকের এই প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে একজন দক্ষ ও যোগ্য মানুষ হয়ে উঠতে হলে ভাষাজ্ঞান খুবই জরুরি। এশিয়া ও ইউরোপের অনেক দেশেই শিক্ষা ও যোগাযোগের মূল মাধ্যম হলো সেসব দেশের মাতৃভাষা। সুতরাং, বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ভাষা শিখলে আখেরে আমাদের শিক্ষার্থীরাই লাভবান হবে।’ 

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য দিদার হুসেইন বলেন, ‘আমাদের হয়তো অনেক কিছু নেই। আবার অনেক কিছু আছে। ভালো হোক মন্দ হোক, এটা আমার দেশ। আমার দেশের জন্য আমি আমার সর্বোচ্চটা দেব। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি এই বিষয়টা মাথায় রাখেন, তাহলে আইইউবি এগিয়ে যাবে, দেশও এগিয়ে যাবে।’ 

আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান বলেন, ‘আজকের এই বিশ্বায়নের যুগে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দক্ষতা। যদি দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়, তাহলে এই চ্যালেঞ্জটা আইইউবির শিক্ষার্থীদের নিতেই হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যোগাযোগের গুরুত্ব অপরিসীম। ভাষা হলো যোগাযোগের মাধ্যম। একজন মানুষ যত বেশি ভাষা জানবে, নিজের জন্য তত বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারবে। আজকের এই দ্রুতগতির ডিজিটাল যোগাযোগ এবং রূপান্তরের যুগে মাতৃভাষার পাশাপাশি একাধিক ভাষা জানা থাকলে প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে থাকা যায়।’ 

সাশিন সেন্টার ফর মাল্টিলিঙ্গুয়াল এক্সেলেন্সের নামকরণ করা হয়েছে আইইউবির ট্রাস্টি দিদার এ হোসেইনের প্রয়াত কন্যা সাশিন দিদার হোসেইনের নামানুসারে। 

দুটি সেন্টারই আইইউবির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সর্বসাধারণের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে। এখানে বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি জাপানিজ, কোরীয়, ফরাসি, মান্দারিন, জার্মান, আরবিসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের লুপ্তপ্রায় ভাষাগুলো সংরক্ষণে কাজ করবে সেন্টার ফর এনডেনজার্ড ল্যাঙ্গুয়েজেস। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য তৌহিদ সামাদ ও এ মতিন চৌধুরী, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান প্রমুখ।