‘অ্যাকটিভ লার্নিং’ যাঁদের মূলমন্ত্র

বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব যে কেবল শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এ ভাবনা ধারণ করে আসছে। পড়ালেখার পাশাপাশি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে শিক্ষা, পেশা দুনিয়ার সমসাময়িক অভিজ্ঞতা অর্জন, ক্লাব কার্যক্রম এবং নির্দিষ্ট বিষয় ছাড়াও জ্ঞানের অন্যান্য শাখায় ছাত্রছাত্রীদের আলোকিত করার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। তাই ইউল্যাবের মূল্যবোধগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘অ্যাকটিভ লার্নিং’, অর্থাৎ কার্যকর শিক্ষা।

শিক্ষাকে কার্যকর করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা হয়। মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন ইউল্যাবে টিভি স্টেশন, রেডিও স্টেশন আছে, তাঁরা নিজেদের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করছেন, পত্রিকা প্রকাশ করছেন, ‘কারিকুলাম ইন্টিগ্রেশন’ অনুষ্ঠানের সুবাদে নিজেদের সৃজনশীল কাজগুলো প্রদর্শনীতে তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন; তেমনি প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের জন্যও আছে আইওটি ল্যাব, কম্পিটেটিভ প্রোগ্রামিং ল্যাব, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং অ্যান্ড মেশিন লার্নিং রিসার্চ ল্যাব ।

ইউল্যাব ক্যাম্পাসে আটটি গবেষণাকেন্দ্র আছে। এখানে গবেষণার কাজটি মূলত শিক্ষকেরা করেন। তাঁদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকেন শিক্ষার্থীরা। দেশের সমস্যা ও সমাধান খুঁজে বের করাই এসব গবেষণার লক্ষ্য। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের গত কয়েক বছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দের দিক দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউল্যাবের অবস্থান দ্বিতীয়। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ডস ইউনিভার্সিটিজ উইথ রিয়েল ইমপ্যাক্ট (ডব্লিউইউআরআই) ২০২০ র‌্যাঙ্কিংয়ে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাপ্লিকেশন’ বিভাগে বিশ্বের সেরা ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছে ইউল্যাব।