আইসিএসবির চার্টার্ড সেক্রেটারি কোর্স

আইসিএসবিতে সনদ প্রদান অনুষ্ঠান। ফাইল ছবি
আইসিএসবিতে সনদ প্রদান অনুষ্ঠান। ফাইল ছবি

গতানুগতিক সাধারণ শিক্ষার বাইরে পেশাগত ডিগ্রি বা যোগ্যতার বেশ কদর রয়েছে। সাধারণ বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও যেখানে চাকরিতে বাজারে প্রতিযোগিতায় হিমশিম খেতে হয়, সেখানে পেশাগত ডিগ্রি থাকলে অনায়াসে সম্মানজনক চাকরি পাওয়া সম্ভব। বর্তমান বিশ্বে চার্টার্ড সেক্রেটারি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক পেশা হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশ সরকারের চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইন, ২০১০ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) এই পেশার উন্নয়নকল্পে পরিচালনা করে আসছে চার্টার্ড সেক্রেটারিশিপ (সিএস) প্রফেশনাল কোর্স। ইতিমধ্যেই এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী সিএস কোর্স সম্পন্ন করেছেন এবং প্রত্যেকেই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পদে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। আইসিএসবিতে আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সিএস কোর্সের নতুন সেশন। আবেদনের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৯ জানুয়ারি।
সুবিধা: আইসিএসবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ জানান, বর্তমানে চাকরিরত ও চাকরিপ্রার্থী উভয়ের জন্যই এই কোর্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে বর্তমানে শুধু তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যাই ৩০০-এর অধিক এবং প্রতিটি কোম্পানিতেই কোম্পানি সেক্রেটারি, অ্যাসিস্ট্যান্ট কোম্পানি সেক্রেটারি, করপোরেট ম্যানেজার বা এর সমমর্যাদাসম্পন্ন পদ রয়েছে। ফলে একজন দক্ষ চার্টার্ড সেক্রেটারির পক্ষে খুবই উচ্চতর প্রারম্ভিক বেতনে এসব পদে অতি সহজেই যোগদান করা সম্ভব।

কোর্সের মেয়াদ: পুরো সিএস কোর্স সম্পন্ন করতে সময় লাগবে আড়াই বছর। কোর্স শেষে ইন্টার্নশিপ করতে হবে তিন মাস। আড়াই বছর মেয়াদি এই কোর্স মোট পাঁচটি সেমিস্টারে বিভক্ত। প্রথম তিন সেমিস্টারকে বলা হয় এক্সিকিউটিভ লেভেল এবং শেষ দুই সেমিস্টারকে বলা হয় প্রফেশনাল। এ ছাড়া ব্যবসা ছাড়া অন্য বিভাগ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত একটি সেমিস্টার করতে হয়। একে বলা হয় ফাউন্ডেশন লেভেল। প্রতিটি সেমিস্টারের মেয়াদ ছয় মাস।

আবেদনের পদ্ধতি: আইসিএসবিতে বছরে দুবার সিএস কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। প্রতিবছর আবেদন-প্রক্রিয়া শুরু হয় ডিসেম্বর ও জুন মাসে। আবেদনের জন্য অফিস চলাকালে শনিবার থেকে বুধবার সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা এবং বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত ১০০০ টাকার বিনিময়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে সঠিকভাবে পূরণ করে নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে অফিসে জমা দিতে হয়।

ভর্তির পদ্ধতি: ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের লিখিত ও নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়। মোট ১০০ নম্বরের এই পরীক্ষায় লিখিত ও নৈর্ব্যক্তিক অংশের জন্য ৮০ এবং মৌখিক পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ থাকে ২০ নম্বর। তবে ফাউন্ডেশন লেভেলের শিক্ষার্থীদের কোনো ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় না।

ভর্তির যোগ্যতা: এক্সিকিউটিভ লেভেল-১-এ ভর্তির জন্য ন্যূনতম ব্যবসায় স্নাতক ডিগ্রি (বিকম/বিবিএ/এমবিএ) এবং কমপক্ষে ৬ পয়েন্টের অধিকারী হতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়।

খরচাপাতি: সিএস কোর্সে ভর্তির সময় রেজিস্ট্রেশন, সেশন চার্জ আনুষঙ্গিকসহ মোট খরচ পড়বে ২০ হাজার ৬৫০ টাকা। এক্সিকিউটিভ লেভেলের ১০টি বিষয়ের জন্য খরচ পড়বে ৯১ হাজার ৪৫৫ টাকা এবং প্রফেশনাল পর্যায়ের আটটি বিষয়ের জন্য খরচ পড়বে মোট ৮০ হাজার ২৫০ টাকা। এ ছাড়া ব্যবসা ছাড়া অন্য বিভাগ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ছয় মাস মেয়াদি ফাউন্ডেশন লেভেলের জন্য খরচ পড়বে মোট ২২ হাজার ৫০০ টাকা।

যোগাযোগ
ইস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ
১১৫ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ
পদ্মা লাইফ টাওয়ার, অষ্টম তলা
বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।
ফোন: ৯৩৪৯৫৭৮, ৯৩৩৬৯০১/১০১ ও ১০৫