উন্নত বাংলাদেশ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মিশ্র শিক্ষাব্যবস্থা সর্বোৎকৃষ্ট সমাধান: শিক্ষামন্ত্রী

উন্নত বাংলাদেশ ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কথা চিন্তা করে শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং এর প্রযুক্তির ব্যবহার এখন বাস্তব। উদ্ভাবনী বাংলাদেশ তখনই সম্ভব, যদি উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা দেশের সর্বস্তরের প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর কাছে পৌছে দেওয়া যায়। ব্লেন্ডেড বা মিশ্র শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে এর সর্বোৎকৃষ্ট সমাধান।

কমনওয়েলথ অব লার্নিং এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে ‘কর্মসংস্থানের জন্য অগ্রিম আইসিটি দক্ষতা কোর্স’ প্রজেক্ট উদ্বোধনের অনলাইন আয়োজনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি অনলাইন আয়োজনে দীপু মনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ-২০২১ বাস্তবায়নের পর আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য উন্নত বাংলাদেশ-২০৪১ বাস্তবায়ন করা। এ জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর প্রতি আরও মনোযোগী হতে হবে, আমরা সেই অনুযায়ী কারিকুলাম নির্মাণ করছি। আমাদের প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে হবে, আয়ত্ত করতে হবে এবং নিজেদের মান উন্নয়ন করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ছাড়াও অনলাইনভিত্তিক এ আয়োজনে যুক্ত ছিলেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিত চন্দ, ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিস কেট স্যাংস্টার, এটুআই প্রোগ্রাম বাংলাদেশের পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরি, কমনওয়েলথ অব লার্নিং-এর পরিচালক সঞ্জয় মিশরা, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মো. আক্তারুজ্জামান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তৌহিদ ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এম. লুতফর রহমান।

‘কর্মসংস্থানের জন্য অগ্রিম আইসিটি দক্ষতা কোর্স’ নামক প্রজেক্টটির উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা করার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে তোলা। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান এ প্রজেক্ট আজকের উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থাপন করেন। ডেটা অ্যানালাইসিস, সাইবার সিকিউরিটি, ডিজিটাল কনটেন্ট ইত্যাদি প্রশিক্ষণের পর সবচেয়ে ভালো ফলাফলকারীকে পুরস্কৃত করা হবে। এতে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তিগত ব্যবহার শিখে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রবণতা বাড়বে। এ জন্য প্রয়োজন যথোপযুক্ত ব্লেন্ডেড শিক্ষাব্যবস্থার প্রসার।

ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি তাঁর বক্তব্যে জাপান বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির কথা স্মরণ করেন। জাপান কমনওয়েলথ দেশভুক্ত রাষ্ট্র না হওয়া সত্ত্বেও এশিয়ায় এ প্রযুক্তিগত বিপ্লবে বাংলাদেশসহ সবার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

অনুষ্ঠানের অন্যান্য অতিথিরা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রযুক্তিগত ব্যবহারে শিক্ষা প্রদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টারের মতো যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণকে নতুন মাইলস্টোন বলেও মনে করেন অতিথিরা। এক বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে ৪টি কোর্সে ৪০০ গ্র্যাজুয়েটকে প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে। বিজ্ঞপ্তি