‘করোনাকালীন শিক্ষণঘাটতি ও মনঃসামাজিক পরিচর্যা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

করোনাকালীন শিক্ষণঘাটতি ও মনঃসামাজিক পরিচর্যা’ শীর্ষক কর্মশালায় উপস্থিত অতিথিদের ফটোসেশন। ডিআইইউ, আশুলিয়া, ২ অক্টোবর
ছবি: সংগৃহীত

‘করোনাকালীন শিক্ষণঘাটতি ও মনঃসামাজিক পরিচর্যা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ কর্মশালা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন কলেজের শতাধিক অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ অংশ নেন।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল কর্মশালা, মুক্ত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ।

নেহাল আহমেদ বলেন, দেড় বছর ধরে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। তবে এ শিক্ষণঘাটতি নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সামাজিক ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন। এ সামাজিক ঘাটতি পূরণের দিকে মনোযোগী হওয়ার জন্য তিনি শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

নেহাল আহমেদ আরও বলেন, অতিরিক্ত অনলাইন–নির্ভরতার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক একাকিত্ব তৈরি হয়েছে। তারা এখন একত্র হলেও খুব একটা হইহুল্লোড় করে না। সবাই নিজ নিজ মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের এ সামাজিক একাকিত্ব থেকে বের করে আনতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম, কলেজ পরিদর্শক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভুঁঞা। অন্যদের মধ্যে ডিআইইউর সহ–উপাচার্য এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন মোস্তফা কামাল, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার অর্থ হচ্ছে সঠিক আত্মোপলব্ধি। সে ক্ষেত্রে বলা যায় করোনা আমাদের ভেতর সঠিক উপলব্ধির জন্ম দিয়েছে। সময়ের সঙ্গে নিজেদের পরিবর্তন করার এক চরম শিক্ষা দিয়েছে করোনা মহামারি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইন শিক্ষার জগতে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছে এই মহামারির কারণে।’

আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, মানবসভ্যতা এগিয়ে গেছে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে। মানুষ যূথবদ্ধভাবে কাজ করেই সভ্যতাকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সুতরাং কোভিডের কারণে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করতেই সম্মিলিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা দরকার।

মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভুঁঞা বলেন, ‘করোনা মহামারি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে খুব একটা ক্ষতির মধ্যে ফেলে দিতে পারেনি; বরং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে। করোনা না এলে অনলাইন শিক্ষার জগতে প্রবেশ করতে আমাদের হয়তো আরও বেশি সময় লাগত। এখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছি।’

উদ্বোধনী পর্বে এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, গত দেড় বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে দেশে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করতে শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রযুক্তির সব সুবিধা নিয়ে শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হবে।