গবেষণায় অসদাচরণ: বাঁচতে হলে জানতে ও মানতে হবে

পালকিতে থাকা মূল্যবান সামগ্রী ঝুড়িতে পুরে তৎক্ষণাৎ পগারপার হলো চোর, শিল্পীর চোখে সেকালের চৌর্যবৃত্তি
অলংকরণ: আরাফাত করিম

সকাল সাতটায় পিএইচডি সুপারভাইজারের ই-মেইল পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে তাঁর অফিসের দিকে রওনা হলাম। যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে দুপুরে খাবারের এক ঘণ্টা ব্রেকসহ অফিস আওয়ার সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। আমার প্রফেসরসহ বেশির ভাগ প্রফেসর সকাল সাতটায় হাজির হন। আমিও সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যেই হাজির হই। চার মাস ধরে তাঁর সঙ্গে কাজ করছি। প্রফেসর তাঁর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটার মধ্যেই দরকারি কাজ সেরে ফেলেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার পর কোনো ই-মেইল বা কোনো কাজ দিতেন না। এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (শনি ও রোববার) ছাত্রছাত্রীদের তিনি কোনো কাজ দিতেন না। তিনি বলতেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন তোমাদের এবং তোমাদের পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত সময়। সময়টা তোমরা তোমাদের মতো করে কাটাও যেন সপ্তাহের বাকিটা সময় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারো। তাই এত সকালে প্রফেসরের ই-মেইল পেয়ে খুব ঘাবড়ে গিয়েছি।

যা–ই হোক, ই-মেইল পেয়েই বুঝেছিলাম জরুরি কিছু এবং অফিসে পৌঁছাতেই তিনি দরজা আটকে বসতে বললেন। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেলাম। প্রফেসর দরজা আটকে বসতে বলার মানে হলো সিরিয়াস বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। বসার পর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি তো আমেরিকায় একটি মাস্টার্স ডিগ্রি করেছ, তাহলে বলো প্ল্যাজিয়ারিজম সম্পর্কে তুমি কী জানো? প্ল্যাজিয়ারিজম (চৌর্যবৃত্তি) সম্পর্কে যতটুকু শিখেছি, এর আলোকে বললাম, অন্য যে কারও গবেষণা থেকে কোনো কিছু উদ্ধৃত করলে তাঁর অথবা তাঁদের নাম যথাযোগ্যভাবে স্বীকার না করাই প্ল্যাজিয়ারিজম।

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর বললেন, তোমার ধারণা ঠিকই আছে, তবে একটু ভুল করেছ। রেফারেন্স দিলেও কারও লেখা বাক্য হুবহু লেখা যাবে না। তোমাকে শব্দান্তর বা ভাষান্তর করে লিখতে হবে। এর জন্য ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। তবে সাধারণত একটি বাক্যে তিন থেকে চারটির বেশি হুবহু শব্দও থাকা যাবে না। চেষ্টা করতে হবে প্রতিটি শব্দেরই প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ ব্যবহার করতে। তবে তুমি যদি হুবহু বাক্য দিতেও চাও, এর জন্যও আলাদা পদ্ধতি আছে, যেটা তোমাকে শিখতে হবে।

এরপর তিনি আমার জমা দেওয়া রিভিউ অব লিটারেচারের কপিটি বের করলেন এবং দেখালেন প্রায় ৩০ পেজের মতো রিভিউতে আমি ছয়টি বাক্য হুবহু কপি করেছি (যদিও রেফারেন্স দেওয়া ছিল)। ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে কাঠ, এখন কী হবে? আমার অবস্থা অনুমান করে তিনি বললেন, দেখো, আমি প্রায় ২২ বছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সুপারভাইজ করি এবং আমি জানি অনেক দেশেই এই বিষয়গুলো অতটা গুরুত্ব দিয়ে শেখানো হয় না।

তোমার ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি তোমাকে ডেকেছি সংশোধনের জন্য, যেন এই ভুল ভবিষ্যতে আর না করো। তোমার সঙ্গে আমার নামসহ পেপার পাবলিশ করব। এ রকম ভুল থাকলে শুধু তোমার নয়, আমারও সমপরিমাণ ক্ষতি হবে। এরপর তিনি আমাকে বললেন, যাও, ওইটুকু কারেকশন করে নিয়ে আসো, আর যদি অনুভব করো শব্দ বা বাক্যগুলো অনেক কঠিন, তবে অন্যভাবে সাইট করো অথবা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে আমি সাহায্য করব।

গবেষণায় অসদাচরণ: কী ও কেন

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রেগুলেশন গবেষণায় অসদাচরণকে সংজ্ঞায়িত করেছে। বলেছে, ‘মনগড়া বা জালিয়াতি (ফেব্রিকেশন), মিথ্যাচার বা বিকৃতকরণ (ফলসিফিকেশন), চৌর্যবৃত্তিসহ (প্ল্যাজিয়ারিজম) অন্য যেকোনো ধরনের বিচ্যুতি যা গবেষণায় গ্রহণযোগ্য নয়, তাকেই গবেষণায় অসদাচরণ বলা হয়।’ অর্থাৎ কোনো গবেষক যদি কোনো ধরনের মনগড়া ডেটা বা তথ্য-উপাত্ত প্রদান করেন, জেনেশুনে গবেষণার ফলাফলে কোনো ধরনের মিথ্যাচার বা বিকৃতি করেন এবং অন্যের লেখাকে যথাযোগ্য প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন (যথাযোগ্য স্বীকৃতি প্রদান না করে) না করেন, তবে সেটা গবেষণায় অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান বা সামাজিক বিজ্ঞান—প্রতিটি ক্ষেত্রেই গবেষণার ফলাফল পূর্ববর্তী গবেষণার ফলাফলের সঙ্গ সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হয়। ভৌতবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানে গবেষকেরা সাধারণত পরীক্ষাগারে গবেষণা কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকেন। পাশাপাশি এ ধরনের গবেষণায় পরিশীলিত (সফিসটিকেটেড) যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকেন। যন্ত্র-সরঞ্জাম ব্যবহারে অদক্ষতা অথবা নমুনা (স্যাম্পল) ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় ভুল থাকলে গবেষণার ফলাফল পূর্ববর্তী গবেষণা ফলাফলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না–ও হতে পারে। এ অবস্থায় একজন গবেষকের তাঁর গবেষণা ফলাফলের ফেব্রিকেশন ও ফলসিফিকেশন করার প্রবণতা দেখা যায়।
সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা সাধারণত জরিপ ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে যদি পপুলেশন এবং স্যাম্পল সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত না হয়, পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া সঠিক না হয়, তবে ফলাফলে পূর্ববর্তী গবেষণার ফলাফলের সঙ্গে অসংগতি চলে আসতে পারে। এ অসংগতি দূর করার জন্য গবেষকেরা অনেক সময় তথ্য-উপাত্তের গরমিল করে থাকেন, যা গবেষণায় মারাত্মক অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান কিংবা সামাজিক বিজ্ঞান—যেকোনো ক্ষেত্রেই পূর্ববর্তী প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ থেকে কিছু উদ্ধৃত করলে এবং প্রাবন্ধিক বা গবেষকের নাম যথাযথভাবে স্বীকার না করলে, সেটি প্ল্যাজিয়ারিজম বা চৌর্যবৃত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এমনকি, পূর্বে প্রকাশিত কারও নিজের একটি প্রবন্ধ থেকেও কেউ যদি তাঁর নিজেরই পরবর্তী প্রবন্ধে কোনো কিছু উদ্ধৃত করেন এবং যথোপযুক্তভাবে স্বীকার না করেন, সেটিও চৌর্যবৃত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।

ফাইল ছবি

আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন (উন্নত অথবা অনুন্নত) দেশেই প্রতিবছর অনেক গবেষক চৌর্যবৃত্তিতে অভিযুক্ত হয়ে থাকেন। উপরন্তু, রেফারেন্স দিলেও কারও লেখা বাক্য হুবহু লেখা যাবে না। শব্দান্তর বা ভাষান্তর করে লিখতে হবে। এর জন্য ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। তবে সাধারণত একটি বাক্যে তিন থেকে চারটির বেশি হুবহু শব্দও থাকা যাবে না। চেষ্টা করতে হবে প্রতিটি শব্দেরই প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ ব্যবহার করতে। হুবহু বাক্য দিতে হলে এর জন্যও আলাদা পদ্ধতি আছে এবং সেই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।

সাধারণত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে দক্ষতার অভাব এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবেই গবেষকেরা মনগড়া তথ্য (ফেব্রিকেশন) ও বিকৃতকরণ (ফলসিফিকেশন) করে থাকেন অথবা তথ্য সংযোজন বা বিয়োজন করে থাকেন। ফলসিফিকেশন ও ফেব্রিকেশনের জন্য মূলত একজন গবেষকের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের অভাব, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের প্রক্রিয়াগত ত্রুটি এবং প্রশিক্ষণের অভাব, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের দক্ষতার অভাব ইত্যাদি কারণেই হয়ে থাকে। উপরন্তু, গবেষণা সুপারভাইজারের উদাসীনতা ও অদক্ষতাও অনেকাংশে দায়ী। অপর দিকে চৌর্যবৃত্তির মূল কারণগুলো হলো বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাব, ভাষাগত দক্ষতার অভাব, নৈতিকতার অভাব, প্রশিক্ষণের অভাব, কপি-পেস্ট করে স্বল্প পরিশ্রমে কাজ সম্পন্ন করার প্রবণতা, সঠিক তদারকির অভাব, ধরা পড়লেও যথাযথ পানিশমেন্ট না হওয়া ইত্যাদি।

সফটওয়্যারের ভূমিকা এবং অসদাচরণ থেকে মুক্ত থাকার উপায়

পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে টার্নিটিন সফটওয়্যার কেনা ও ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্যই প্রয়োজনীয় এবং উপকারী। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারই গবেষণায় অসদাচরণ থেকে মুক্তি প্রদান করতে পারে না। এটি শুধু ধারণা প্রদান করতে পারে যে চৌর্যবৃত্তি ঘটেছে কি না। একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি—
রক্তে উচ্চমাত্রায় চিনির উপস্থিতিকে ডায়াবেটিস বলা হয়। ডায়াবেটিস নিজে নাকি রোগ নয়; বরং বিভিন্ন রোগের জন্য অতিরিক্ত জটিলতা সৃষ্টিকারী উপাদান। ডায়াবেটিস থাকলে সাধারণ কাটাছেঁড়াও নাকি সহজে শুকাতে চায় না। ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্রের সাহায্যে রক্তে উচ্চমাত্রায় চিনির উপস্থিতি আছে কি না, তা পরিমাপ করা সম্ভব। কিন্তু ডায়াবেটিস থেকে বেঁচে থাকতে চাইলে প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর জীবনধারার চর্চা করা, যা মানুষের জীবনে হঠাৎ করে উপস্থিত হয় না। স্বাস্থ্যকর জীবনধারার চর্চা করতে হয় দীর্ঘ মেয়াদে। অনেক অল্প বয়সেই শুরু করতে হয়। এর জন্য প্রয়োজন পারিবারিক সচেতনতা, সামাজিক সচেতনতা এবং সর্বোপরি নিজস্ব সচেতনতা।

লেখক
ছবি: সংগৃহীত

তেমনি গবেষণায় অসদাচরণ থেকে বাঁচার জন্য শুধু সফটওয়্যারের ব্যবহারেই সমাধান আসবে না। আমাদের প্রয়োজন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই গবেষণায় অসদাচরণ, বিশেষত চৌর্যবৃত্তি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা এবং কীভাবে এটি এড়ানো যায়, এর চর্চা করা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক নীতিশাস্ত্র (এথিকস) কোর্স করতে হয়। যার মূল বিষয়বস্তুই থাকে গবেষণায় অসদাচরণ কী এবং কীভাবে এর থেকে মুক্ত থাকা যায়। একজন গবেষক ইচ্ছা না করলে তাঁর গবেষণার ফলাফল জনসমক্ষে প্রকাশ না-ও করতে পারেন, কিন্তু তিনি কোনোভাবেই অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করতে পারেন না।

সবশেষে

আমার প্রফেসরকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি কীভাবে বুঝলেন যে আমার লেখায় প্ল্যাজিয়ারিজম আছে এবং আপনাদের দেশের কোনো শিক্ষার্থী এ ধরনের কাজ করলে কী করতেন? তিনি বলেছিলেন, ‘আমি দেখছিলাম তোমার লেখায় একটি আলাদা প্যাটার্ন আছে, কিন্তু ওই পাঁচ-ছয়টি বাক্য তোমার লেখার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা প্যাটার্নের। আমি গুগলে সার্চ করেই পেয়ে যাই যে বাক্যগুলো এ গবেষণা প্রবন্ধ থেকে তুমি নিয়েছ এবং তোমার লিটারেচার রিভিউতে হুবহু লিখে রেখেছ।’
আরও বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা অনেক ছোটবেলা থেকেই এ বিষয়গুলো চর্চা করে ও শিখে বড় হয়। তাই ওরা কেউ এ ধরনের কাজ করলে বিষয়টি সরাসরি ডিনের কাছে অভিযোগ আকারে উপস্থাপন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করতাম। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং গবেষকদের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ে নিষিদ্ধ করা হয়।’

অতএব, শেখার জন্য কোনো শর্টকাট পন্থা নেই। শর্টকাট পন্থা দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই সফলতা বয়ে আনে না। প্রাথমিক না হোক অন্তত মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে হলেও আমাদের সিলেবাসে গবেষণায় অসদাচরণ–সম্পর্কিত টপিক সংযুক্ত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ন্যূনতম এক ক্রেডিট হলেও গবেষণায় এথিকস বা এই ধরনের একটি কোর্স যুক্ত করতে হবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেতন হতে হবে। তবেই আমরা গবেষণায় অসদাচরণ থেকে মুক্ত থাকতে পারব।

ছোটবেলায় (যখন শুধু বাংলাদেশ টেলিভিশন ছিল) একটি বিজ্ঞাপন দেখতাম (সম্ভবত যক্ষ্মা রোগের), যার মূল স্লোগান ছিল ‘বাঁচতে হলে জানতে হবে’। আমাদের দেশে অনেকে অনেক কিছু জানলেও মানতে চাই না মোটেও। তাই গবেষণায় অসদাচরণ থেকে মুক্ত থাকার জন্য বলতে চাই, শুধু জানলেই চলবে না, বাঁচতে হলে জানতে ও মানতে হবে।

*লেখক: মোহাম্মদ রাজিব হাসান, অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর। [email protected]