গরীব ও মেধাবীদের জন্য আছে বিশেষ বৃত্তি

অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন. উপাচার্য, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি

করোনার কারণে প্রথম দিকে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হলেও পরে অনলাইনের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে পেরেছি। এখন তা অনেকটাই স্বচ্ছন্দ্যে চলছে।

কোভিড-১৯ এর প্রভাব অনেক বেশি পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর ওপর। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এ বছর সব কটি সেমিস্টারে সব বিষয়ে স্নাতকের টিউশন ফির ওপর ৫০ শতাংশ এবং স্নাতকোত্তরের টিউশন ফির ওপর ৪০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। এ ছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় ক্ষেত্রে ভর্তি ফির ওপরও দেওয়া হচ্ছে ৫০ শতাংশ ছাড়। বর্তমানে পাঁচটি বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। আরও ছয়টি বিষয় অনুমোদনের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে আবেদন করেছি। আশা করছি খুব শিগগির এই অনুমোদন পাব।

গবেষণার জন্য প্রতিটি বিভাগকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে। আমাদের ক্যাম্পাসে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি ডে কেয়ার সেন্টার চালুরও প্রক্রিয়া চলছে। শিক্ষাজীবন শেষে কর্মজীবনে প্রবেশের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বিশেষ কিছু দক্ষতা অর্জন করতে হয়, যাঁকে বলে সহশিক্ষা কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বরাবরই এগিয়ে। ১৮ টি ক্লাবের মাধ্যমে নাটক, গান, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা অনুষ্ঠান করেছি। এ বছরও চলবে। সেসব অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি রয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কাজ করছি।

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও পৌঁছে গেছে। ফিলিপ সি জেসাপ ইন্টারন্যাশনাল মুটকোর্ট প্রতিযোগিতায় টানা তিন বছর বাংলাদেশে প্রথম এবং ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত একই প্রতিযোগিতায় বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে পর পর তিনবার উল্লেখযোগ্য স্থান পেয়েছে আইন অনুষদের মুট কোর্ট দল। তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের বিএসসি ইন ট্রিপল ই প্রোগ্রামটি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পর্যায়ে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে প্রতি বছর ‘ব্যাটেল উইথ ইংলিশ’ নামে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় কলা অনুষদের অধীনে। বাণিজ্য অনুষদের অধীনে ‘দ্য ইস্টার্ন বিজনেস চ্যালেঞ্জ’ নামে একটি বিজনেস অলিম্পিয়াডও অনুষ্ঠিত হয়। গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ওপর ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বিশেষ সুনজর রাখে। এখানে শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার বৃত্তি দেওয়া হয়।