দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে এগিয়ে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি

‘Distinction in Education’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৩ সালে ঢাকার ধানমন্ডিতে যাত্রা শুরু করে বেসরকারি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। শুরু থেকেই গুনগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক ২০১৮ সালের মে মাস থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকার গাবতলী ও আবদুল্লাহপুর বাসস্টান্ড থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে বিরুলিয়ায় ২০ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন এ ক্যাম্পাস ইতিমধ্যে সবার নজর কেড়েছে। প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার বর্গফুটের একাডেমিক ভবন, খেলার মাঠ, কোলাহলমুক্ত উম্মুক্ত স্থানসহ এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসে পরিণত হয়েছে।

শিক্ষা কার্যক্রম
দেশের অভিজ্ঞ অধ্যাপক ও শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সহিদ আকতার হুসাইন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন গবেষক। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান অধ্যাপক ও শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় ১৫০ জন ফুল টাইম শিক্ষকের মধ্যে ২৪ জন রয়েছেন পিএইচডি ডিগ্রিধারী।

অনুষদ ও বিভাগ
দেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। কর্মমুখী শিক্ষা কারিকুলাম আর সময়োযোগী প্রোগ্রাম নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি অনুষদের অধীনে ১০টি প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে। অনুষদগুলো হলো আইন, কলা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ব্যবসা প্রশাসন। চার বছরের স্নাতক কোর্সগুলো হলো কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ, এলএলবি (অনার্স) ও ইংরেজি (অনার্স) এবং স্নাতকোত্তর কোর্সগুলো হলো এমবিএ, ইএমবিএ, এলএলএম, এমএ ইন ইএলএল, এমএ ইন ইএলটি। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে স্পোকেন ইংলিশ ও চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ সার্টিফিকেট কোর্স চালু রয়েছে।

গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চতর জ্ঞান অর্জন, বৈশ্বিক পরিবেশের সঙ্গে টিকে থাকার জন্য প্রতিবছর পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয় এবং নিয়মিত জার্নাল প্রকাশ করা হচ্ছে এ কেন্দ্র থেকে।

লাইব্রেরি
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে আছে ১৬ হাজার ৩৫১টি বই। আর রয়েছে দেশি-বিদেশি নিউজ পেপার, জার্নাল, ম্যাগাজিন। ৮৬৩ অডিও ভিজ্যুয়াল, ২২ হাজারের বেশি অনলাইন জার্নাল এবং ই-বুকের সুবিধা। এ ছাড়া রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, শিক্ষকদের বসার জন্য টিচার্স কর্নার ও ওয়াই–ফাইয়ের সুবিধা। বর্তমানে লাইব্রেরিটি কোহা ইন্টিগ্রেটেড লাইব্রেরি সিস্টেমের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে স্বয়ংক্রিয়। ব্যবহারকারীরা নিজেই যেকোনো জায়গা থেকে তার প্রোফাইল চেক করতে পারেন এবং নিজেরাই তাঁদের বইয়ের মেয়াদ বাড়াতে পারেন।

শিক্ষা সমঝোতা চুক্তি, ইন্টার্নশিপ ও পেশাগত উনয়ন পরামর্শ কেন্দ্র
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য, চীন, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নামকরা ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতামূলক চুক্তি আছে। ফলে ছাত্রছাত্রীরা উন্নত দেশগুলোতে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে অথবা স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য সেখানে যেতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি ক্যারিয়ার সার্ভিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অফিস শিক্ষার্থীদের জব প্লেসমেন্ট, ইন্টার্নির জন্য যোগাযোগ স্থাপনসহ শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার–সংক্রান্ত বিভিন্ন ওয়ার্কশপের আয়োজন করে থাকে।

ল্যাবরেটরি

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ল্যাব। এসব ল্যাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন হাতে–কলমে প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জন করতে পারেন, তার সব আয়োজনই রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিটি ক্লাসরুমেই আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষা-উপকরণের মাধ্যমে পাঠ দান করা হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই প্রোগ্রাম আইবির অনুমোদনপ্রাপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়টির সিএসই প্রোগ্রামটিতে আইবির অনুমোদন পেতে আবেদন করেছে।

সহশিক্ষা কার্যক্রম
ক্লাস অধ্যয়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে সমাজসেবা ও নেতৃত্বদানের গুণাবলি বাড়ানোর লক্ষ্যে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ১৮টি ক্লাব ও ফোরামের কার্যক্রম রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুট কোর্ট সোসাইটি সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পরপর তিনবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ফিলিপ জেসাপ মুর্ট কোর্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পরপর ৩ বার বিশ্বের প্রায় ৭৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ স্থান অর্জন করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। এ ছাড়া ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাব জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ডিবেটিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। এ ছাড়া অন্যান্য ক্লাব ও ফোরামগুলো নিয়মিত বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা ও সামাজিক সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

পৃথক হোস্টেল
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। ক্যাম্পাস আঙিনায় নির্মিত হয়েছে ছাত্রীদের জন্য আধুনিক সব সুবিধাসংবলিত হোস্টেল। ক্যাম্পাসের অদূরেই ইস্টার্ন ভিউ ডরমেটরি নামে ছাত্রদের জন্য নতুন বহুতল হোস্টেল ভবন নির্মিত হচ্ছে।

মেডিকেল ও সাইকো-সোশ্যাল কাউন্সেলিং সেন্টার

শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য রয়েছে দুজন চিকিৎসক ও একজন নার্স। এ ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য রয়েছেন একজন অভিজ্ঞ সাইকো-সোশ্যাল কাউন্সেলর।

বৃত্তি ও আর্থিক সহযোগিতা
কোভিড পরিস্থিতিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফিতে অনার্সে ৫০ শতাংশ এবং মাস্টার্সে ৪০ শতাংশ ওয়েভার দিচ্ছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এবং এসএসসি ও এইচএসসির প্রতিটিতে গোল্ডেন জিপিএ–৫ প্রাপ্তদের জন্য রয়েছে টিউশন ফিতে ১০০ শতাংশ ওয়েভারে শিক্ষার সুবিধা। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি প্রতিবছর ৬ দশমিক ৫ কোটি টাকা আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। গত ১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রায় ৫৮ কোটি টাকার বৃত্তি দিয়েছে।

নিজস্ব পরিবহন
শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার জন্য ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ১২টি রুটে সরাসরি বাস সার্ভিসসুবিধা রেখেছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। গাড়িবহরে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক বাস রয়েছে। গাড়িবহরে খুব শিগগিরই আরও নতুন কিছু বাস যুক্ত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই মানের বিষয়ে আপসহীন থেকে দেশে উচ্চশিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মানসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ব্যাপক সুনাম। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ের সংখ্যা কম হলেও এ পর্যন্ত ডিগ্রিপ্রাপ্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ১০ হাজার। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা দেশের বিভিন্ন সরকরি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ে সুনাম ও সুখ্যাতির সঙ্গে কর্মরত আছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি অনার্স সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষ। ঢাকা বার পরীক্ষায় সর্বাধিক সফলতা রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জুডিশিয়ারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের রয়েছে ঈর্ষণীয় সফলতা। বর্তমানে দেশের নামকরা আইনবিদদের অনেকেই ইস্টার্নের গ্র্যাজুয়েট।
দেশে ও দেশের বাইরে ইস্টার্নের গ্র্যাজুয়েটরা কৃতিত্বের সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। বিজনেস গ্র্যাজুয়েটরা ব্যাংকের এমডিসহ অনেক উচ্চপর্যায়ে আসীন। তা ছাড়া অনেকে উদ্যোক্তা হয়ে ব্যবসায় বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েটরাও সমানতালে দেশের বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। ইংলিশ গ্র্যাজুয়েটরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। এ ছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন এবং ব্যাংক ও বিমা কোম্পানিতে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।

ভর্তি ও যোগ্যতা
ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী SSC ও HSC প্রতিটিতে ন্যূনতম ২.৫ করে মোট ৫ জিপিএ থাকতে হয়। কোনো পরীক্ষায় যদি ২.৫–এর নিচে থাকে, তবে দুটি মিলে ৬ থাকতে হবে। তবে ২.০০–এর নিচে জিপিএ থাকলে ভর্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ও/এ লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৭টি বিষয় থাকতে হবে, যার মধ্যে ও লেভেলে জিপিএ ৪ এবং এ লেভেলে ২টি বিষয়ে জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে।

যোগাযোগ: ঠিকানা
সড়ক-৬, ব্লক-বি, আশুলিয়া মডেল টাউন, বিরুলিয়া, সাভার, ঢাকা-১৩৪৫। মোবাইল নাম্বার: +৮৮০১৭৪১৩০০০০২, +৮৮০১৮৪৪১৬৯৬৫১, +৮৮০১৮৪৪১৬৯৬৫৯, +৮৮০১৮৪৪১৬৯৬৬০, Email: [email protected], Facebook: www.facebook.com/euedubd, Website: www.easternuni.edu.bd