দক্ষ মানবসম্পদ গড়াই লক্ষ্য

মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। সাভারের আশুলিয়ায় ২০ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে এখন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ডানা মেলছে। করোনাকালে ক্যাম্পাসে ক্লাস বন্ধ আছে, কিন্তু অনলাইনে পাঠদান চলছে পুরোদমে।

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে ডিজিটাল মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়। এখানে আছে ১৭ হাজার বই ও আট শ’র বেশি অডিও ভিজ্যুয়াল সামগ্রী। আছে বাংলাদেশ স্টাডিজ, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার। দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল সুবিধা দিচ্ছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ক্যাম্পাসের ভেতরে ২০০ জন ছাত্রী এবং ক্যাম্পাসের পাশে ৫০০ ছাত্রের জন্য হোস্টেল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ঢাকা শহরের নয়টি রুটে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য আছে বাস সেবার ব্যবস্থা। স্প্রিং ২০২১ সেমিস্টারে ভর্তি–ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের জন্যও বিশেষ শাটল সার্ভিস চালু করা হয়েছে।

আছে ১৮টি ক্লাব

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ভর্তি ফরমেই ‘কে কোন ক্লাবে যোগ দিতে চাও’ লেখা একটি বিশেষ ঘর পূরণ করতে হয় ভর্তি–ইচ্ছুক সব শিক্ষার্থীকে। ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করা এবং সৎ, দক্ষ, মানবিক ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই এই উদ্যোগ। ক্যাম্পাসের ১৮টি ক্লাব মিলে প্রতি বছর আয়োজন করে ক্লাব কার্নিভ্যাল। এ বছর অনলাইনেই হয়েছে এ আয়োজন, যা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে।

ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতি অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আলাদা আলাদাভাবে জিপিএ ২.৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারেন। যেকোনো একটি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ ন্যূনতম ৬ থাকতে হবে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ও লেভেল পরীক্ষায় পাঁচটি বিষয় এবং এ লেভেল–এ দুইটি বিষয় থাকতে হবে। এই দুই পরীক্ষার সাতটি বিষয়ের মধ্যে চারটিতে বি গ্রেড বা জিপিএ ৪ এবং দুইটিতে জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে। স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য স্নাতকে ন্যূনতম জিপিএ ২ থাকা জরুরি।

এক নজরে

পাঠদানের বিষয়

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে চারটি অনুষদ আছে—কলা, ব্যবসায় প্রশাসন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং আইন। অনুষদগুলোর অধীনে পাঁচটি বিষয় আছে—ইংরেজি, ব্যবসায় প্রশাসন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল এবং আইন। প্রোগ্রাম আছে ১০টি—বিবিএ, বিএ ইন ইংলিশ, এলএলবি (স্নাতক), বিএসসি ইন সিএসসি, বিএসসি ইন ইইই, এমবিএ, ইএমবিএ, এলএলএম, এমএ ইন ইএলএল এবং এমএ ইন ইএলটি।

ক্রেডিট স্থানান্তরের সুবিধা

শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে ১৯টি দেশের নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ‘এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’ ও ক্রেডিট স্থানান্তর চুক্তি আছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য এসব দেশে যেতে পারেন।

বিভিন্ন তথ্যের জন্য

ভর্তি প্রক্রিয়া: easternuni.edu.bd/howToApply

ভর্তি ফরম: easternuni.edu.bd/euAdmissionForm

যোগাযোগের ঠিকানা

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি,সড়ক-৬, ব্লক বি, আশুলিয়া মডেল টাউন, খাগান, বিরুলিয়া, ঢাকা।

ফোন: ০১৭৪১৩০০০০২, ০১৮৪৪১৬৯৬৫১

প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন

মনসুরুল আজিজ

মনসুরুল আজিজ

হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন, নগদ

আমি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসনের পঞ্চম ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। ছাত্রজীবনে যত গুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েছি, সেগুলোর মধ্যে আমার সর্বোচ্চ সাফল্য এসেছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে। এখানে ভালো ফলাফলের স্বীকৃতি হিসেবে আমি ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের হাত থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণের সুযোগ পাই। এটি আমার জীবনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য অর্জন। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে থাকার কারণে সেই অর্জনের সুযোগ পেয়েছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমার গর্ব, আমার অহংকার।

নাজমুস শাহাদাত

নাজমুস শাহাদাত

যুগ্ম জেলা জজ, ঢাকা জজ কোর্ট

আমি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। ২০০৭ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করি। এখন ঢাকা জজ কোর্টের পঞ্চম জেলা জজ আদালতে যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে কর্মরত আছি। জীবনের সবচেয়ে রঙিন দিনগুলো কাটিয়েছি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে। এখানকার আইন বিভাগে রয়েছেন একদল চৌকস শিক্ষক। তাঁদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে দেশ সেরা বহু আইনজীবি তৈরি হচ্ছেন এখান থেকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার নাড়ির বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে, যা কখনো ছিঁড়বে না। আমি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।