বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনে উৎকর্ষ অর্জন করতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রমে উৎকর্ষ অর্জন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালগুলোকে দেশের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য মুহাম্মদ আলমগীর ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান কারিকুলামে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কে খান আইন অনুষদ অডিটরিয়ামে ইউজিসি আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. নাছিম আখতার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) বেনু কুমার দে ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য কাঞ্চন চাকমা।

বিশ্ববিদ্যালগুলোকে দেশের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে
মুহাম্মদ আলমগীর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবনসংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন জোরদারকরণে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালার সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

কর্মশালায় ইউজিসি সদস্য মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করলেও অনেক সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচন করেছে। এ সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।

দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের নয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। ইউজিসি সদস্য আরও বলেন, শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সহযোগিতার সেতুবন্ধন তৈরি হলে গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির বাজারজাতকরণ সহজ হবে। এতে উদ্ভাবক, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও দেশের সাধারণ মানুষ সুফল পাবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন এবং এসব প্রতিষ্ঠানের আধুনিক ল্যাব ব্যবহার করে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা না গেলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জগুলো যথাযথভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না।

ইউজিসি আয়োজিত এই কর্মশালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে ধারণা দিতে সক্ষম হবে। এ ধরনের আয়োজন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিদ্যমান গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম আরও বেগবান করতে সহায়ক হবে।

ইউজিসি এপিএর ফোকাল পয়েন্ট গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন আফরোজা পারভীন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক কাজী মুহাইমিন-আস-সাকিব। কর্মশালায় ইউজিসি ইনোভেশন টিমের ফোকাল পয়েন্ট রবিউল ইসলামসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির ৪৬ শিক্ষক ও কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।