বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আগামী বছরেই ইন্টারনেটের আওতায় আনতে চায় ইউজিসি

ভার্চ্যুয়াল সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ।

ব্লেন্ডেড শিক্ষাপদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ।

একই সময়ে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট কানেকটিভিটি শতভাগ নিশ্চিত করা ও ক্যাম্পাসে নেটওয়ার্ক স্থাপন করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। এ ছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীকে ডেটা সেন্টারের সুযোগ ও ২০৩১ সালের মধ্যে চাহিদার ভিত্তিতে শতভাগ শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ বা ডিজিটাল ডিভাইসের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে উচ্চশিক্ষায় ব্লেন্ডেড শিক্ষাপদ্ধতিসংক্রান্ত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নবিষয়ক উপকমিটির এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। কমিশনের জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় ইউজিসির সদস্য মো. সাজ্জাদ হোসেন, বিশ্বজিৎ চন্দ, মো. আবু তাহের, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য সঞ্জয় কুমার অধিকারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ হুমায়ুন আখতারসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও সদস্যরা যুক্ত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)

অনসাইট, অনলাইন, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমের শিক্ষাপদ্ধতিকে একত্র করে ইউজিসি সম্প্রতি ব্লেন্ডেড এডুকেশন নীতিমালা তৈরি করে। ইউজিসি এ নীতিমালা বাস্তবায়নের একটি রূপরেখাও প্রণয়ন করেছে। আজ মঙ্গলবার ব্লেন্ডেড শিক্ষাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের কাছে ইউজিসির এটি উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।

সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণে ব্লেন্ডেড শিক্ষাপদ্ধতিতে স্মার্টফোন বা ডিভাইস ও ইন্টারনেট কানেকটিভিটির বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্লেন্ডেড শিক্ষাপদ্ধতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চশিক্ষা ও শিক্ষায় সবার সমানাধিকার বা ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

সভায় ইউজিসি সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ ব্লেন্ডেড শিক্ষাপদ্ধতির রূপরেখা তুলে ধরেন। রূপরেখায় ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ওপেন এডুকেশনাল রিসোর্স, ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম, ডিজিটাল স্টুডিও সেবা ও স্মার্ট ক্লাসরুমের সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছ।

বিশ্বজিৎ চন্দ আরও বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় পরিচালিত গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ধরতে অ্যান্টি–প্লেজিয়ারিজম সফটওয়্যারের ব্যবহার শতভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা রূপরেখায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।