বিশ্বসেরাদের তালিকায় বাংলাদেশি গবেষক এস এম মূঈন

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি গবেষক ড. এস এম মূঈন সেই তালিকায় স্থান পেয়েছেন
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও এলসেভিয়ার প্রকাশনা সংস্থার (আইসিএসআর ল্যাব) সমন্বিত জরিপে বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি গবেষক ড. এস এম মূঈন সেই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। জ্বালানি বিষয়ে গবেষণা করেন তিনি।

গত শতাব্দীর শেষের চতুর্থাংশ থেকে বিশ্ব প্রাকৃতিক শক্তির সংকট অনুধাবন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় তেলের সংকটকে কেন্দ্র করে যুদ্ধও দেখে‌ছে এই পৃথিবী। এখন এটাই বিশ্বাস করা হয় যে আমাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করছে আমাদের সাসটেইনেবল জীবনধারণ এবং রিনিউঅ্যাবল এনার্জি ব্যবহারের দক্ষতার ওপর। তাই বিশ্বময় এনার্জি ও রিনিউঅ্যাবল এনার্জি-সম্পর্কিত গবেষণা বিজ্ঞানীদের মনোনিবেশের কেন্দ্রবিন্দুতে, আর এ সেক্টরে যে কজন বিজ্ঞানী সাফল্যের দাবিদার, তাঁদের একজন অবশ্যই ড. মূঈন।

বর্তমানে এস এম মূঈন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অব ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পিউটিং অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সেসের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে তিনি জাপানের সোসাইটি ফর প্রোমোশন অব সায়েন্সের (জেএসপিএস) পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপে জাপানে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করছেন তিনি।

রিনিউঅ্যাবল এনার্জি ও স্মার্ট গ্রিড-সম্পর্কিত বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং সম্মেলনে তাঁর নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত অন্যতম একটি বই ভেরি অ্যাবিলিটি স্কালাবিলিটি অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি অব মাইক্রোগ্রিড। লেখক বা সম্পাদক হিসেবে তাঁর রয়েছে সাতটি বই। রিনিউঅ্যাবল এনার্জির পরে তাঁর গবেষণার আগ্রহের মধ্যে রয়েছে পাওয়ার ইলেকট্রনিকস, বৈদ্যুতিক মেশিন, ফ্যাক্টস, এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (ইএসএস), এইচভিডিসি সিস্টেম, বিদ্যুৎ সিস্টেমের স্থায়িত্ব ও নিয়ন্ত্রণ এবং স্মার্ট গ্রিড।

এস এম মূঈনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা খুলনায়। খুলনা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক করেন। জাপানের কিতামি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মনবুকাগাকুশো স্কলারশিপে করেন স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি।