বিশ্বের শিক্ষা লাভের সুযোগ দেশে বসেই

আমাদের দেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিক বা ‘এ’ লেভেল শেষ করার পরের কয়েক মাস কাটে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানা রকম অনিশ্চয়তা আর দ্বিধাদ্বন্দ্বে। এ সময় প্রায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন থাকে। দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর অনুপাতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা সীমিত হওয়ায় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হবে, কোন বিষয়টিকে বেছে নিলে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া তুলনামূলক সহজ হবে ইত্যাদি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মধ্যে চিন্তা-দুশ্চিন্তার উদ্রেক হয়। ভর্তিযুদ্ধের পর অনেকেই দেখা যায় স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ পান না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় ও স্নাতকের বিষয় একজন শিক্ষার্থীর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে একজন কোন ক্ষেত্রে কাজ করবেন, তা এ সিদ্ধান্তের ওপর অনেকখানি নির্ভর করে।

আবার অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে বিদেশে শিক্ষা লাভের আকাঙ্ক্ষাও থাকে। কিন্তু বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভের সুযোগ যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্যই বেশ বড় চ্যালেঞ্জ। ভালো ফল হওয়াই এখানে যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে, স্নাতক পর্যায়ে বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া আরও কঠিন। আর আমাদের দেশের শিক্ষাক্রম আর বিদেশের শিক্ষাক্রম ভিন্ন হওয়ায় এ দেশের শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরুর আগে ফাউন্ডেশন প্রোগ্রামে অংশ নিতে হয়, যা বেশ সময়সাপেক্ষ।

স্নাতক পর্যায়ে দেশ থেকে একজন শিক্ষার্থী যখন বিদেশে পড়াশোনা করতে যান, তখন তাঁর ওপর নতুন দেশের ভিন্ন সংস্কৃতি, রীতিনীতি, নতুন পরিবেশ ইত্যাদির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার এক প্রকার চাপ থাকে। এর সঙ্গে বৈশ্বিক পাঠ্যক্রম নিয়ে ধারণা না থাকায় পড়াশোনার ক্ষেত্রেও তাঁকে আলাদা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। আর সারা বিশ্ব যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, চাকরির বাজারে নিজেকে এগিয়ে রাখতে হলেও বৈশ্বিক পাঠ্যক্রমে পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত জটিলতার সমাধানে ও বিদেশে শিক্ষা লাভের যাত্রা সহজ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত দেশের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি) দেশে বসেই শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক পাঠ্যক্রমে শিক্ষা লাভের সুযোগ তৈরি করছে।

বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অবস্থান এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মান ও গবেষণা নিয়েও রয়েছে নানা মুনির নানা মত। এদিকে মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে (কিউএস ২০২২ র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী)। ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের (ইউএসএনডব্লিউআর) ২০২২ সালের বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং অনুসারে মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় ৪০তম স্থানে রয়েছে, যা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। এ নিয়ে টানা দুই বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি এ র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৫০-এ স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে। ইউসিবি দেশে মোনাশ কলেজ, অস্ট্রেলিয়ার অংশীদার। মোনাশের পাঠ্যক্রম সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করা হয় ইউসিবিতে। শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে ইউসিবি থেকে মোনাশ কলেজের প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে ও/এএস/এ/এইচএসসি পর্যায়ের পরপরই মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি অর্জনের যাত্রা শুরু করতে পারবেন। ইউসিবিতে মোনাশ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন ইয়ার প্রোগ্রাম ও মোনাশ কলেজে ডিপ্লোমা প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ফাউন্ডেশন ইয়ার প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক পাঠ্যক্রমের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় নম্বর ও শর্তাবলি পূরণ করে মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দসই বিষয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ পাবেন। আর মোনাশ কলেজ ডিপ্লোমা (এমসিডি) মূলত মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের সমমানের। যেসব শিক্ষার্থীরা ইউসিবিতে এ প্রোগ্রাম সফলভাবে সম্পন্ন করবেন, তাঁরা সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষ থেকে পড়াশোনা শুরু করার সুযোগ পাবেন।

রাজধানীর গুলশানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ রয়েছে ইউসিবির ক্যাম্পাস। এ মনোরম ক্যাম্পাসে শিক্ষাদানে নিযুক্ত একদল অভিজ্ঞ শিক্ষক। মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম রপ্ত করতে শিক্ষকদের শুরুতেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রয়েছে প্রতি সপ্তাহে টিউটোরিয়াল ক্লাসের ব্যবস্থা। টিউটরিয়াল ক্লাসে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সঙ্গে আলাদাভাবে বসে আলোচনার সুযোগ পান এবং পুরো সপ্তাহে কোনো বিষয়ে বুঝতে অসুবিধা হলে তা আলাদাভাবে বুঝে নিতে পারেন।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে চাকরির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য একাডেমিক পড়াশোনাই যথেষ্ট নয়। এ জন্য শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল বিকাশেও বিশেষ নজর দিয়ে থাকে ইউসিবি। নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ, যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, উদ্যোক্তা মানসিকতা তৈরি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এসব প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞরা।

বিদেশে শিক্ষাজীবন শুরুর আগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা থাকলে, পরবর্তী সময়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া যেমন সহজ হয়, তেমনি সময়ও সাশ্রয় হয়। ইউসিবিতে যোগদান করে মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি অর্জনের যাত্রা শুরু করা যাবে। ইতিমধ্যে ইউসিবি প্রথম সেমিস্টারের কার্যক্রম শেষ করেছে এবং নতুন সেমিস্টার শুরুর প্রস্তুতি চলছে। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা নতুন সেমিস্টারে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন: লেভেল ৩-৫, এস এ টাওয়ার, ১ গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা- ১২১২ অথবা ভিজিট করুন https://ucbbd.org/