বৈশ্বিক মান নিশ্চিতের পাশাপাশি ঐতিহ্যকে লালন করে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি

২০০২ সালে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন নিয়ে যাত্রা শুরু করে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড এডুকেশনের কনসেপ্ট নিয়ে অধ্যাপক ড. এম এ হান্নান ফিরোজ ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্য নিয়ে স্টামফোর্ড কলেজ গ্রুপের যাত্রা শুরু করেন। ২০০২ সালে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন নিয়ে যাত্রা শুরু করে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার মান ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্টামফোর্ডকে প্রথম সারির নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বাংলাদেশে ISO-9001-2000 স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রথম ইউনিভার্সিটি। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বর্তমানে ‘We Bring Out the Best in You’ স্লোগান নিয়ে এগিয়ে চলছে আগামীর পথে। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সির্টি রাজনীতি, জঙ্গি ও মাদকমুক্ত একটি ইউনিভার্সিটি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশসহ ৪৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শিক্ষামান সুনিশ্চিত করার জন্য কর্মরত আছেন ২৪২ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ আরও কয়েকটি দেশের ৭০ জন অতিথি শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিয়ে থাকেন।

তাত্ত্বিক লেখাপড়ার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য এই ইউনিভার্সিটি ইতিমধ্যে স্থাপন করেছে ১২টি সুসজ্জিত কম্পিউটার ল্যাবসহ বিভাগভিত্তিক বিভিন্ন ল্যাব। এর মধ্যে ৪টি ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ল্যাব, ৫টি ফার্মেসি ও মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, ৭টি সিভিল ল্যাব, ১০টি ডিজাইন ও ড্রইং ল্যাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব, ৫টি ভিডিও এডিটিং ল্যাব এবং এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রফেশনাল ক্যামেরা ও যন্ত্রপাতি। কম্পিউটার ল্যাবগুলোতে ফ্রি ইন্টারনেট সার্ভিসসহ কম্পিউটার ক্লাসের জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পুরো ক্যাম্পাসে ফ্রি ওয়াই–ফাই অ্যাকসেস সুব্যবস্থা আছে।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য প্রধান লাইব্রেরিসহ আরও ৫টি সেমিনার লাইব্রেরিতে প্রায় ৫৫ হাজার ১৬৩টি বই এবং ৪ হাজার জার্নাল আছে। লাইব্রেরিতে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু’ কর্নার রয়েছে।

স্টামফোর্ডে ছয়টি সেন্টার আছে। এর মধ্যে জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারে জাপানে স্টাডি করতে আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা জাপানিজ ভাষা শিখার সুযোগ পেয়ে থাকেন। ক্যারিয়ার কাউন্সেলিংয়ের জন্য প্লেসমেন্ট সেন্টার। এর মাধ্যমে স্টামফোর্ডের চলমান ও পাস করা শিক্ষার্থীদের চাকরি পাওয়া বিষয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ, সেন্টার ফর সাউথ এশিয়া পলিসি রিসার্চ, সেন্টার ফর কন্টিনিউয়িং এডুকেশন এবং কনসালটিং অ্যান্ড রিসার্চ।

২০১৮ ও ২০২০ সালে স্টামফোর্ড বঙ্গবন্ধু ইউল্যাব ফেয়ার প্লে কাপের আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট শিরোপা জিতেছে। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশকে (ইউল্যাব) ৭ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা অর্জন করেছে স্টামফোর্ড।

যেসব বিষয় পড়ানো হয়

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে ১৪টি বিভাগের অধীনে ২৭টি প্রোগ্রামে শিক্ষাদান কার্যক্রম চালু রেখেছে। প্রোগ্রামগুলো হলো ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার, বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মাস্টার ইন কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ব্যাচেলর অব আর্টস ইন ইংলিশ (অনার্স), মাস্টার্স অব আর্টস ইন ইংলিশ (ফাইনাল), ব্যাচেলর অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, মাস্টার অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, বিএসসি ইন মাইক্রোবায়োলজি, এমএস ইন মাইক্রোবায়োলজি, ব্যাচেলর অব ফার্মেসি, মাস্টার অব ফার্মেসি, ব্যাচেলর অব লজ, মাস্টার অব লজ, বিএসএস ইন ইকনোমিকস, এমএসএস ইন ইকনোমিকস, বিএসএস ইন জার্নালিজম, এমএসএস ইন জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ, ব্যাচেলর অব আর্টস ইন ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া, মাস্টার অব আর্টস ইন ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া, ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, মাস্টার অব সায়েন্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ব্যাচেলর অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, মাস্টার্স অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স।

বৃত্তি

করোনা মহামারির জন্য এবারও বিনা মূল্যে ভর্তি ফরম দেওয়া হচ্ছে এবং ভর্তিতে থাকছে ৫০ শতাংশ ছাড়। এই সামার সেমিস্টারে থাকছে ২৫ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ সুবিধা। ১০০ শতাংশ ওয়েভার আছে প্রথম বর্ষের জন্য (জিপিএ ৫.০০ সব লেটার গ্রেড এ+ এসএসসি ও এইচএসসি প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে)। ৫০ শতাংশ ওয়েভার আছে প্রথম বর্ষের জন্য (জিপিএ ৫.০০ এসএসসি ও এইচএসসি দুটিতেই)। এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। ৫১, সিদ্ধেশ্বরী রোড, ঢাকা-১২১৭, ফোন: ৫৮৩১৫৫১৪, ৫৮৩১৪০৩৩, মোবাইল: ০১৭৩৮৮৭৯৫৯৮, ০১৮৩৬৯৭৬৯৪১। www.stamforduniversity.edu.bd তে পাবেন শিক্ষাসহ যাবতীয় তথ্য।

ছবু: সংগৃহীত

বৈশ্বিক মান নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি স্টামফোর্ড ঐতিহ্যকে লালন করে। এরই ধারবাহিকতায় স্টামফোর্ডে ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ‘স্টামফোর্ড ভার্চ্যুয়াল বৈশাখী আড্ডা ১৪২৮’ অনুষ্ঠিত হয়। আড্ডায় অংশগ্রহণ করেন স্টামফোর্ড বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য ড. ফারাহনাজ ফিরোজ ও রুমানা হক রিতা, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষক একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও কবি সাকিরা পারভীন, জনসংযোগ বিভাগের প্রধান সুপা সাদিয়াসহ শিক্ষার্থীরা। আড্ডাটি ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা রেহানা আক্তার সঞ্চালনা করেন। আড্ডায় বৈশাখ উদ্‌যাপনের ইতিহাস, অতীত ও বর্তমান বৈশাখ, বৈশাখী স্মৃতিচারণাসহ কবিতা ও গানে মুখর ছিল।