বিইউবিটি : রাজধানীতেই স্থায়ী ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) ক্যাম্পাসছবি: সংগৃহীত

কম খরচে গুণগত মানের উচ্চশিক্ষা প্রদান, ‘একাডেমিক এক্সিলেন্স’, উদ্ভাবন ও গবেষণায় নেতৃস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)। ঢাকা কমার্স কলেজের পৃষ্ঠপোষকতায় স্বল্প কজন শিক্ষার্থী নিয়ে রাজধানীর রূপনগরে (মিরপুর-২) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। চারটি অনুষদের অধীন বিইউবিটিতে এখন শিক্ষার্থী প্রায় আট হাজার।

চার বিঘা জায়গার ওপর দাঁড়িয়ে আছে ক্যাম্পাসের চারটি বিশাল ভবন। আছে একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টার, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম, আধুনিক ল্যাব, সভাকক্ষ, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য
বিশেষভাবে তৈরি রুম, আধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ মেডিকেল সেন্টার, দুটি ক্যাফেটেরিয়াসহ
নানা সুবিধা।

ভিনদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হার্জিং ইউনিভাসির্টি, থাইল্যান্ডের কাসেম বান্ডিট ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি, কানাডার সাসকাচিয়ান ইউনিভার্সিটিসহ প্রায় ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে। যৌথ অর্থায়নে ভিনদেশে পিএইচডি প্রোগ্রামসহ যৌথ প্রোগ্রাম চালু আছে।

ভর্তিপ্রক্রিয়া

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম মেনে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় বিইউবিটিতে। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হয়। বর্তমানে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণ এবং সব ধরনের ফি জমা দেওয়ার সুযোগ আছে। অনলাইন ‘ওয়ান–স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ এবং ‘হটলাইন নম্বর’ শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সহজ করেছে।

ন্যূনতম যোগ্যতা

এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান—উভয় পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ–২.৫ বা দ্বিতীয় বিভাগ থাকলে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ–২.০ থাকলেও ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে, তবে উভয় পরীক্ষায় সম্মিলিত জিপিএ কমপক্ষে ৬.০০ হতে হবে। ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রে ‘ও’ লেভেলে পাঁচটি বিষয়ে এবং কমপক্ষে দুটি বিষয়সহ ‘এ’ লেভেলে একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই কমপক্ষে বি গ্রেড বা জিপিএ–৪.০০–এর এবং তিন বিষয়ে কমপক্ষে সি গ্রেড বা জিপিএ–৩.৫–সহ উত্তীর্ণ হতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকৌশলে পড়া শিক্ষার্থীরাও বিইউবিটিতে যোগ্যতা সাপেক্ষে ভর্তি হতে পারবেন।

বৃত্তি

বর্তমানে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি ফিতে ২৫ শতাংশ এবং টিউশন ফিতে ১৫ শতাংশ ওয়েভার দেওয়া হচ্ছে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ১০-১০০ শতাংশ, এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ২৫-১০০ শতাংশ, বিইউবিটির সেমিস্টার ফলাফলের ভিত্তিতে ২৫-১০০ শতাংশ, ভাইবোনদের জন্য ২৫ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ১০০ শতাংশ, ঢাকা কমার্স কলেজ ও প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২০ শতাংশ, বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (ডে প্রোগ্রাম) ৪ বছরের জন্য ২০ শতাংশ এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে বিইউবিটি শিক্ষার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ ওয়েভারের ব্যবস্থা আছে। এভাবে বছরে প্রায় ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকার ওয়েভার বা বৃত্তি দেওয়া হয়।

একনজরে

পাঠদানের বিষয়

কলা ও মানবিক অনুষদের অধীন ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিংয়ে (ইএলটি) স্নাতকোত্তর করার সুযোগ আছে। আইন অনুষদে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি নেওয়া যায়।

প্রকৌশল ও ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের অধীন আছে কম্পিউটারবিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল, টেক্সটাইল প্রকৌশল এবং পুরকৌশলে স্নাতক করার সুযোগ। এ ছাড়া গণিতে স্নাতকোত্তর করা যায়।

ব্যবসায় ও সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে বিবিএ, এমবিএ, ইএমবিএ, এমবিএম (মাস্টার্স অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট), অর্থনীতি, পরিবেশ ও উন্নয়ন অর্থনীতি পড়া যায়। স্নাতকোত্তর আছে অর্থনীতিতে।

পড়ার খরচ

বিস্তারিত: bubt.edu.bd/admission

যোগাযোগ: ৭৭-৭৮, মেইন রোড,
রূপনগর, মিরপুর-২, ঢাকা-১২১৬।
পিএবিএক্স: ৪৮০৩৬৩৫১-৩
হটলাইন: ০১৮১০০৩৩৭৩৩,
ই-মেইল: [email protected]
ওয়েবসাইট: www.bubt.edu.bd

প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের কথা

মোহাম্মদ আবুল হাশেম সোহাগ

মোহাম্মদ আবুল হাশেম সোহাগ

চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার, অর্কিড গ্রুপ

কম খরচে ভালো মানের পড়াশোনা করার জন্য বিইউবিটিই সেরা। বিইউবিটির শিক্ষকেরা বেশ যোগ্যতাসম্পন্ন এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক। বিইউবিটিতে বিবিএ প্রোগ্রামে ভর্তির আগে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) প্রফেশন সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। প্রথম থেকেই ভালো ফল করায় অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকেরা আমাকে সিএ সম্পর্কে ধারণা দেন। তাঁদের পরামর্শে একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হই এবং সিএ সম্পন্ন করি। সিএ করার আগ্রহ এবং জ্ঞানের ভিত্তি আমি বিইউবিটি থেকেই পেয়েছি।

আহসানুল আকিব

আহসানুল আকিব

শিক্ষার্থী, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ

বিইউবিটিতে ভর্তি হওয়ার পর আমি সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হই, বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করা শুরু করি। এখানকার শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ, শিক্ষাদান পদ্ধতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হিউমেনয়েড রোবট ‘বঙ্গ’ তৈরির বিভিন্ন পর্যায়ে বিইউবিটির শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সহযোগিতা খুব কাজে এসেছে। এর ফলে আমি ইউরিকন ১৯, ইউইএম কলকাতা কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এ ছাড়া ‘এডু রোবট’ তৈরি করে ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তা না পেলে আমার প্রকল্পগুলো সফল হতো না।