শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে প্রেসক্লাবে মানববন্ধন

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

‘সেশনজট, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া, অর্থনৈতিক সংকট শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করেছে। শিক্ষার্থীদের পরিচয়ের সংকট তৈরি হচ্ছে। দীর্ঘদিন হল–ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন কারণে আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। একসময় আমাদের মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ারও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’

আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন। অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয় ‘শিক্ষার্থীবৃন্দ’–এর ব্যানারে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে জন্ম নিয়েছে অশিক্ষা, অনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপে ছড়িয়ে পড়া। দীর্ঘদিন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় উচ্চশিক্ষায় নেমে এসেছে স্থবিরতা।

মানববন্ধন কর্মসূচির সমন্বয় করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শামসুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জি কে সাদিক, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী নূর মুহাম্মদ।

কর্মসূচির সমন্বয়ক বলেন, ‘করোনার কথা বলে আমাদের ঘরে বন্দি রাখা হয়েছে, যা আরও ভয়ঙ্কর ও মানসিক ঝুঁকির কারণ। গবেষণায় উঠে এসেছে ঘরে আবদ্ধ থাকলে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস পায়। রোগ আরও দ্রুত কাবু করতে পারে।’

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এত দিন টিকার কথা বলে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর অনেকের করোনা হচ্ছে। তার মানে টিকা দিলেই করোনা চলে যাবে, এমনটা নয়। তাই বছর বছর বসে থাকার কোনো মানে নেই। বরং টিকার জন্য অপেক্ষা করা মানে হয়রানি বৃদ্ধি ও শিক্ষাজীবন ধ্বংস করার নামান্তর।’