শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে রাজশাহীতে দ্বিতীয় দিনে বিক্ষোভ সমাবেশ

সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীসহ সারা দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিনের এ কর্মসূচিতে কয়েকজন অভিভাবকও উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহীর বেসরকারি নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জান্নাতুল সাবিরার সঞ্চালনায় এবং ইশতিয়াক আহম্মেদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহব্বত হোসেন মিলন, অন্তু বিশ্বাস, সজল ইসলাম, মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম, নাফিউল ইসলাম, রাজশাহী কলেজের জাকারিয়া ইসলাম, নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের নাদিম সিনা, খাদিজা ইসলাম প্রমুখ। ছাত্র সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন অভিভাবক এম জে কাদেরী, নূর হোসেন ও রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীরা। লেখাপড়ার বাইরে থাকায় অন্যান্য নানা কাজে জড়িয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় উচ্চশিক্ষাও ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেশনজট নিয়েও চিন্তা রয়েছে। ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভালো নেই। শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থাকায় মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।

দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা
ছবি: প্রথম আলো

শিক্ষার্থীরা বলেন, এত দিন টিকার অজুহাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সেই টিকা দেওয়া হলো না। এখন টিকাই নেই দেশে। শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া আহ্বান জানান তাঁরা। অভিভাবকেরা বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু খোলা রয়েছে। সেখানে কি করোনা ছড়াচ্ছে না? শিক্ষার্থীরা কি সেখানে যাচ্ছেন না? শিক্ষার্থীদের ইমিউনিটি বেশি। আমাদের দেশে কম বয়সীরা আক্রান্ত কম হচ্ছেন। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে তাঁরা সহজে আক্রান্ত হবেন না। তাই টিকার জন্য অপেক্ষা না করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ধারায় ফিরিয়ে আনতে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাল বুধবার বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা একই জায়গায় প্রতীকী ক্লাস ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন।