‘স্বল্পোন্নত থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ–সম্ভাবনা’ নিয়ে ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের উদ্যোগে ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের উদ্যোগে ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মো. আলাউদ্দিন এবং সভাপতিত্ব করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যান মো. নাজমুস সাদেকীন।

ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক এম এ রাজ্জাক, বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদত হোসেন সিদ্দিকী, লিগ্যাল ইকোনমিস্ট ও বিসিএফ–এর কো-কনভেনার মোহাম্মদ শাহজাহান সিদ্দিকী, ইকোনমিক এনালিস্ট ও বিসিএফের মেম্বার সেক্রেটারি মো. মাজেদুল হক এবং সোহাগী ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ টি এম ইফতেখার হোসেন। ওয়েবিনার পরিচালনা করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত দে। এতে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনার শুরুতে এম এ রাজ্জাক স্বল্পোন্নত থেকে উত্তরণের জন্য ৩টি সূচকের কথা বলেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য দেশের তুলনামূলক আলোচনা করেন, যেখানে নাজনীন স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির কথা বলেন। তা ছাড়া তিনি দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘ওয়ালটন ইফেক্ট’ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অন্যদের মধ্য অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদাত বলেন যে আমাদের টেকসই আয় বাড়ানোর জন্য প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। তা ছাড়া প্রকৌশলী ইফতেখার হোসেন আমাদের এখনই স্বল্পোন্নত থেকে বের হওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বিভিন্ন এলাকা যে যে পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ করতে দক্ষ, ওই সব এলাকায় ওই সম্পর্কিত ইকোনোমিক জোন স্থাপনের প্রস্তাব দেন। মোহাম্মদ শাহজাহান সিদ্দিক স্বল্পোন্নত থেকে বের হয়ে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য কাস্টমস আইন রিফর্ম, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বৃদ্ধি এবং ট্যাক্স-জিডিপি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পরে মো. মাজেদুল শ্রমিকদের অধিকারে গুরুত্ব দিয়ে ‘Regional Productivity’ বাড়ানোর কথা ব্যক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি