মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কনস্যুলারবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনা বিটার সঙ্গে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যেন সহজেই ভিসা পান এটা আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব খুরশেদ আলম।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব গতকাল রোববার তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে মার্কিন কনস্যুলারবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনা বিটার ছাড়াও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী জেনিন উইন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনার পর খুরশেদ আলম বলেন, কনস্যুলারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা (রেনা বিটারের সঙ্গে) হয়েছে। ভিসা নীতি নিয়ে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি। তাঁরাও তোলেননি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু বিষয় ছিল, যেমন আমাদের ছাত্ররা ঠিকমতো ভিসা পায় না। আমাদের যারা ধরেন, আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি করেন, মানে যারা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, তাদের ভিসা পেতে সমস্যা হয়, সেই বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। তাঁরা বলেছেন, এ বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ভিসা ইস্যুর সময় (ভিসার মেয়াদ) কমিয়ে এনেছে, আগে যেটা অনেক বেশি ছিল, সেটা এখন ছয় মাসের মধ্যে এনেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ভিসা প্রসঙ্গে তাঁরা (মার্কিন মন্ত্রী) জানিয়েছেন, কোভিডের পর তাঁদের কিছু সমস্যা ছিল, সেটা কাটিয়ে উঠেছেন। এখন ছয় মাসের মধ্যেই ভিসা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোনো উদ্বেগ জানিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে মো. খুরশেদ আলম বলেন, ‘না, এ বিষয়ে উদ্বেগ জানানোর কিছু নেই। তারা যদি করতে চায় সেটা...।’ নতুন থ্রি সি ভিসা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে আপনাদের উৎসাহ থাকতে পারে, আমাদের নেই।’