‘বুয়েটের সুনাম তৈরি হয়েছে অ্যালামনাইদের কৃতিত্বের জন্যই’

‘৫০ বছর ও ৩০ বছর পূর্তিতে গ্র্যাজুয়েট সংবর্ধনা ২০২৩’ অনুষ্ঠানে শনিবার বুয়েটের সংশ্লিষ্ট ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়
ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে প্রকৌশলে ১৯৭৩ ও স্থাপত্যে ১৯৭৪ সালে পড়াশোনা শেষ করা শিক্ষার্থীদের স্নাতকের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। একই সঙ্গে প্রকৌশলে ১৯৯৩ ও স্থাপত্যে ১৯৯৫ সালের স্নাতকেরা পার করেছেন ৩০ বছর। স্নাতকের ৫০ ও ৩০ বছর পূর্তিতে এই দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার বিকেলে বুয়েটের খেলার মাঠে ‘৫০ বছর ও ৩০ বছর পূর্তিতে গ্র্যাজুয়েট সংবর্ধনা ২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ওই দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বুয়েট প্রশাসনের পদস্থ ব্যক্তিরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান৷

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বুয়েটের সাবেক উপাচার্য মো. মোশারফ হোসেন খান (এম এইচ খান)। আশির দশকে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করা এই প্রবীণ অধ্যাপক বলেন, ‘আমরা চার প্রজন্ম এই প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। আমি ছিলাম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পঞ্চম ব্যাচ এবং বুয়েটের পঞ্চম উপাচার্য। দেশ-বিদেশে বুয়েটের একটা নাম-পরিচয় আছে। যেখানেই গিয়েছি, সেখানেই বুয়েটের ছাত্ররা আছেন, ভালোভাবেই আছেন এবং কন্ট্রিবিউট করছেন (অবদান রাখছেন)।’  

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘বুয়েটের সুনাম তৈরি হয়েছে অ্যালামনাইদের কৃতিত্বের জন্যই। এ জন্য তাঁদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। বুয়েট কী করে তার কোনো ডকুমেন্টেশন (লিখিত নথি) নেই। বুয়েট যা করেছে, তা লিখিত থাকতে হবে। ডকুমেন্টেশন না থাকায় অনেক কাজ করলেও কৃতিত্বটা আমরা পাচ্ছি না। সেই ডকুমেন্টেশনটা দরকার। বুয়েটের কৃতিত্বটা অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনোভাবে ধরে রাখতে চাই।’

বুয়েটের সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান প্রশাসনের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন সহ-উপাচার্য আবদুল জব্বার খান। সংবর্ধনা পাওয়া স্নাতকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মূল্যবান অভিজ্ঞতাগুলো বই আকারে প্রকাশ করুন, লিখুন। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এটি একটি মূল্যবান সম্পদ হবে।’ এ সময় বুয়েটের উন্নয়নে তাঁদের এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান আবদুল জব্বার খান।

বুয়েট অ্যালামনাইয়ের নেতা ইমু রিয়াজুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক ও বুয়েট অ্যালামনাইয়ের সমন্বয়ক মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে ৫০ বছর পূর্তি হওয়া স্নাতকদের পক্ষে মাসুদুর রহমান এবং ৩০ বছর পূর্তি হওয়া স্নাতকদের পক্ষে আসিফুজ্জামান বক্তব্য দেন।

বুয়েট অ্যালামনাইয়ের সভাপতি আইনুন নিশাতের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করায় থাকায় আসতে পারেননি। অসুস্থ থাকায় অ্যালামনাইয়ের মহাসচিব মাহ্তাব উদ্দিনও অংশ নিতে পারেননি।