জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থিসিস বণ্টন নিয়ে নতুন নীতিমালা প্রকাশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে থিসিস গ্রহণকে সহজ এবং শিক্ষার্থীবান্ধব করার জন্য আগের নীতিমালা পরিবর্তন করে নতুন নীতিমালার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে পাঠানো বিবৃতিতে থিসিস বণ্টন নীতিমালার বিষয়ে জানানো হয়।

থিসিস বণ্টন নীতিমালায় বলা হয়—

১. পূর্বে একজন সুপারভাইজার সর্বোচ্চ দুজন শিক্ষার্থী সুপারভাইজ করতে পারতেন; এটি বাড়িয়ে এখন তিনজন করা হয়েছে।

২. থিসিস গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ যোগ্যতার মানদণ্ড ৩.০০ নির্ধারণ করা হয়েছে।

৩. কোনো শিক্ষক যদি তাঁর শিক্ষাজীবনে মাস্টার্স পর্যায়ে থিসিস সম্পন্ন করে থাকেন, তবে তিনিও থিসিসের সুপারভাইজার হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

৪. শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শতাংশের শর্ত তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যা খুব শিগগির কার্যকর হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে থিসিস বণ্টনের জন্য একটি আধুনিক, সুস্পষ্ট ও শিক্ষার্থীবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সুপারিশমালা তৈরি করবে, যা পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা এবং অনুমোদনের মাধ্যমে চূড়ান্ত নীতিমালা হিসেবে গৃহীত হবে।

১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থিসিস গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সুপারভাইজার/কো–সুপারভাইজার হওয়ার যোগ্যতার শর্তের বিষয়ে অফিস স্মারক প্রকাশ করা হয়। স্মারকে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থিসিস–সংক্রান্ত বিষয়ে গত ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৭২তম সভায় নিম্নবর্ণিত সাপ্লি: সিদ্ধান্ত (সাপ্লি: সিদ্ধান্ত-২) ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৯৯তম সভায় অনুমোদিত হয়েছে।

আরও পড়ুন

(ক) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থিসিস গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সুপারভাইজার/কো-সুপারভাইজার হওয়ার যোগ্যতার শর্ত হিসেবে তাঁদের অবশ্যই পিএইচডি/এমফিল/থিসিসসহ মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।’

(খ) স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থিসিস বণ্টন নীতিমালা প্রণয়নের জন্য গত ০৫/১২/২০২৪ তারিখে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে নিম্নবর্ণিত নিয়ম অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

(১) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তির সময় যেসব বিভাগ/ইনস্টিটিউটে আসনসংখ্যা ৮০ বা তার চেয়ে কম সেসব বিভাগে ওই আসনসংখ্যার ২০ শতাংশ এবং যেসব বিভাগে আসনসংখ্যা ৮০–এর অধিক সেসব বিভাগে ওই আসনসংখ্যার ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে থিসিস নিয়ে অধ্যয়ন করতে পারবেন।

(২) যেসব শিক্ষার্থীর স্নাতক (সম্মান) বিবিএ পর্যায়ে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.০০ আছে তাঁরা থিসিস গ্রহণ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন

(৩) একজন কোয়ালিফায়েড শিক্ষক স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে এক শিক্ষাবর্ষের তিনজনের বেশি শিক্ষার্থীর সুপারভাইজার হতে পারবেন না।

(৪) থিসিস গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সুপারভাইজার লটারির মাধ্যমে অথবা বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কমিটি কর্তৃক গৃহীত পদ্ধতিতে নির্ধারিত হবে। তবে কোনোভাবেই শিক্ষার্থীর পছন্দ অনুযায়ী সুপারভাইজার নির্ধারণ করা যাবে না। যদি কোনো কোয়ালিফায়েড শিক্ষক সুপারভাইজার হতে না চান এবং সে ক্ষেত্রে যদি বিকল্প কোনো কোয়ালিফায়েড শিক্ষক না থাকে তাহলে উক্ত কোয়ালিফায়েড শিক্ষককে সুপারভাইজার হতে হবে।

আরও পড়ুন