জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) শিক্ষাব্যবস্থায় জেনারেটিভ এআই (জেনআই) ব্যবহারের প্রথম নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। এ নির্দেশনায় সরকারি সংস্থাগুলোকে তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা এবং ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বয়সসীমা নির্ধারণসহ প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে ওপেনএআই চ্যাটজিপিটি চালু করেছে। এআইয়ের চ্যাটবট দ্রুত গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে। এটি বিশ্বে সবচেয়ে কম সময়ে বেশি গ্রাহক সংযোজন করা চ্যাটবট পরিসেবা। এর ফলে বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী গুগলও তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বার্ড চালু করে। শিক্ষার্থীদের কাছে এআইয়ের ব্যবহার স্বল্পসময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটিতে কয়েকটি লাইনের নির্দেশনা দিলে প্রবন্ধ থেকে গাণিতিক সমস্যা পর্যন্ত যেকোনো কিছুর সমাধান করে দিতে পারে।
ইউনেস্কোর শিক্ষাবিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক স্টেফানিয়া জিয়ান্নিনি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা মেশিন লার্নিংয়ের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং পরিবর্তনের গতির সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তরের গতিকে এক করার কাজ করছি।’
স্টেফানিয়া জিয়ান্নিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদেরা দাবি করেন যে এটা তাঁরা ঠিকমতো বোঝেন না। তবে এর মধ্যও সরকার এবং স্কুলগুলো এ প্রযুক্তি গ্রহণ করে ফেলেন।’
শিক্ষাব্যবস্থায় এআই ব্যবহারসংক্রান্ত ৬৪ পৃষ্ঠার নির্দেশিকা প্রতিবেদন দিয়েছে ইউনেস্কো। তাতে বলা হয়েছে, ‘ইউনেস্কো কারিগরি শিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও স্কুলশিক্ষায় সরকার-অনুমোদিত এআই পাঠ্যক্রমের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।’