ঢাবির নিয়মিত স্নাতকোত্তর সবার জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ, দিতে হবে পরীক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত স্নাতকোত্তর সবার জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগ-ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থীরাই সে বিভাগ-ইনস্টিটিউটে নিয়মিত স্নাতকোত্তর করতে পারেন। এক বিভাগ-ইনস্টিটিউটের স্নাতক অন্য বিভাগ-ইনস্টিটিউটে স্নাতকোত্তর করতে চাইলে সান্ধ্য কোর্সই একমাত্র উপায়। তবে সান্ধ্য কোর্সের খরচ নিয়মিত স্নাতকোত্তরের চেয়ে অনেক বেশি। এবার এ নিয়মে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আসন ফাঁকা থাকা ও ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া সাপেক্ষে এক বিভাগ-ইনস্টিটিউটের স্নাতকেরা অন্য বিভাগ-ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে পারবেন। এ সুযোগ পাবেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরাও।

গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভা থেকে এ সুপারিশ আসে। প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুতই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদের ডিন প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অনেকে নানা কারণে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন না। এতে বিভাগ-ইনস্টিটিউটগুলোয় কিছু আসন ফাঁকা থেকে যায়। কেউ অন্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর করতে চাইলে সান্ধ্য কোর্সে ভর্তি হতে হয়, যেখানে খরচ নিয়মিত স্নাতকোত্তরের কয়েক গুণ বেশি। স্নাতক শেষ করার পর তিন বছর পর্যন্ত নিয়মিত স্নাতকোত্তর করার সুযোগ থাকে। ডিনস কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে এক বিভাগ-ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অন্য বিভাগ-ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এ সুযোগ নিতে পারবেন। তবে সবাইকেই ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। এতে শিক্ষার্থীরা কম খরচে পছন্দের বিভাগে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পাবেন।

প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে যত দ্রুত সম্ভব নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কোনো বিভাগে স্নাতকোত্তরে আসন শূন্য থাকলে তাঁরা পরীক্ষা নিয়ে সেই আসন পূরণ করতে পারবেন। ধরা যাক, কোনো বিভাগে স্নাতকোত্তরে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন আছে। সেখানে যদি ৪০ জন নিয়মিত ছাত্র ভর্তি হওয়ার পর ১০টি আসন ফাঁকা থাকে, তখন ওই আসন পূরণে বিভাগ-ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন আহ্বান করা হবে। এরপর পরীক্ষা নিয়ে শূন্য আসনগুলো পূরণ করা হবে।

গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভা থাকলেও সেখানে বিষয়টি ওঠেনি বলে জানান এক সিন্ডিকেট সদস্য। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিল হয়ে সিন্ডিকেটে আসবে।