র‍্যাফল ড্রর বিজয়ীরা পেলেন মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন

জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসবের র‍্যাফল ড্রর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের সঙ্গে অতিথিরা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়েছবি: সৈয়দ আশরাফুল আলম

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসংক্রান্ত সব খবর শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) গত ২৩ ও ২৪ জুলাই ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব–২০২৩’ আয়োজন করা হয়। উৎসবে আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশের সময় র‍্যাফল ড্রর কুপন দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার প্রথম আলো কার্যালয়ে র‍্যাফল ড্রর বিজয়ী পাঁচজনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

প্রথম পুরস্কার হিসেবে মো. তুহিন মাহমুদ টিভিএসের সৌজন্যে একটি মোটরসাইকেল পেয়েছেন। এ ছাড়া প্রথম আলোর সৌজন্যে দ্বিতীয় পুরস্কার পান মো. আসিফ হোসেন খান। তিনি একটি ল্যাপটপ পেয়েছেন। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার বিজয়ী যথাক্রমে নওশীন রিজওয়ানা ছিদ্দিকী, মো. ইকরামুল হক ও মো. জাহিদুল ইসলাম প্রত্যেকে একটি স্মার্টফোন পান।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিভিএস অটো বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী বিপ্লব কুমার রায় ও উপব্যবস্থাপক কামরুল আহসান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত, এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেড প্রধান নির্বাহী এ এইচ এম আসাদুজ্জামান ও ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারী মুনির হাসান, বিজ্ঞাপন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মুহাম্মেদ হুমায়ুন কবীর, উপব্যবস্থাপক মনেস কুমার অধিকারী ও যুব কার্যক্রম বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. বায়েজিদ ভূঁইয়া।

টিভিএস অটো বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী বিপ্লব কুমার রায় বলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর একজন শিক্ষার্থী কোথায়, কী পড়বে, খরচ কেমন হবে, বৃত্তি পাওয়া যাবে কি না—এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে তারা পথভ্রষ্ট হয়ে তাদের পছন্দের বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। প্রথম আলো ভর্তি উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে এক ছাতার নিচে এনে আমাদের তরুণ ছেলেমেয়েদের সঠিক পথ বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, ‘শত শত ছেলেমেয়ে এবং তাদের অভিভাবকেরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টলগুলোতে ঘুরে ঘুরে ভর্তিসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পেরে বেশ আনন্দিত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের বিষয়টি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। এ ধরনের সৃজনশীল আয়োজনে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, আপনাদের সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত বলেন, ‘দেশে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিরাট ভূমিকা পালন করে আসছে। মাধ্যমিক পার হওয়া শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকেরা মেলায় বিভিন্ন স্টল থেকে ভর্তির তথ্য, বৃত্তির খবর এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক উপকৃত হয়েছেন।’

মোটরসাইকেল বিজয়ী মো. তুহিন মাহমুদ বলেন, ‘ভর্তি উৎসবে এসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিকুলাম সম্পর্কে জানতে পেরেছি। র‍্যাফল ড্রতে প্রথম বিজয়ী হয়ে ভালো লেগেছে। যাঁরা এই আয়োজন করেছেন, তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। পরবর্তী সময়ে ভর্তি উৎসব আয়োজন করার অনুরোধ রইল। এতে করে আমাদের ছোট ভাইবোন যারা আছে, তারা উপকৃত হবে।’

ল্যাপটপ বিজয়ী মো. আসিফ হোসেন খান বলেন, ‘ভর্তির পূর্বে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা বেশ কষ্টদায়ক। ভর্তি উৎসবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেয় তাদের স্টল থেকে সেশন ফি, ক্রেডিট ট্রান্সফার, ক্যাম্পাসের সুবিধাসমূহ আমরা জানতে পেরেছি খুব সহজেই।’

এবারের ভর্তি উৎসবে ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিল, ইএমকে সেন্টারসহ মোট ৪৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এ ভর্তি উৎসবের আয়োজক প্রথম আলো। টাইটেল স্পনসর জিপিএইচ ইস্পাত। সহপৃষ্ঠপোষকতায় (পাওয়ার্ড বাই) টিভিএস। ইভেন্ট পার্টনার (অনুষ্ঠান সহযোগী) এনেক্স কমিউনিকেশন।