কুয়েটের সাবেক উপাচার্যের অবসর গ্রহণের আবেদন, বরখাস্ত ৯ কর্মকর্তা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে পদত্যাগের আবেদন করেছেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মিহির রঞ্জন হালদার। এদিকে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সহ-উপাচার্য, দুজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারসহ ৯ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগ, ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) সবাইকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মিহির রঞ্জন হালদার এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শিবেন্দ শেখর শিকদার ২৪ নভেম্বর স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে পদত্যাগের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করেছেন।
এই তালিকায় আছেন কুয়েটের সাবেক সহ–উপাচার্য অধ্যাপক সোবহান মিয়া, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক পিন্টু চন্দ্র শীল, ডেপুটি রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রী দোলন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার দিবাশীষ মন্ডল, জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার, সহকারী কম্পোট্রলার জি এম আবু সাইদ, সহকারী প্রোগ্রামার ওমর ফারুক, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান রাজন এবং পিয়ন সত্যজিৎ কুমার দত্ত। এ তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে জানা গেছে।
৫ আগস্টের ছাত্র–জনসতার অভ্যুত্থানের পর কুয়েটের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি ২০০৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে উপাচার্যের নির্দেশে অনেকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে উপাচার্যের দপ্তরে। অভিযোগগুলোর তদন্ত করতে অধ্যাপক আশরাফুল গণি ভূঁইয়াকে সভাপতি এবং রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমানকে সদস্যসচিব করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে ২১ নভেম্বরের সিন্ডিকেট সভায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ করে কমিটি। এরপর সিন্ডিকেটের সভার অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু হয়।