ঢাবিতে ‘ঘ’ ইউনিট থাকছে না, তবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরাও কলায় পরীক্ষা দিতে পারবেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ভর্তি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে পাঁচটি ইউনিটের পরিবর্তে চারটি ইউনিটে নেওয়া হবে। ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ এবং শাখা বা বিভাগ পরিবর্তনবিষয়ক কৌশল অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি। ফলে আগামী শিক্ষাবর্ষে ‘ঘ’ ইউনিটে কোনো ভর্তি পরীক্ষা হবে না।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডিনস কমিটির সভা হয়। উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’, বিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান ও সমগোত্রীয় শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ‘বিজ্ঞান ইউনিট’, ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে যেকোনো শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ‘চারুকলা ইউনিট’-এ ভর্তি পরীক্ষা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শাখা বা বিভাগ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীরা কলা অনুষদ, আইন অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিষয় এবং সংশ্লিষ্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্য ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। মানবিক শাখার শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তির জন্য ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, তথ্যপ্রযুক্তি এবং গণিত বা পরিসংখ্যান বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন। মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিষয়ে ভর্তির জন্য ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, তথ্যপ্রযুক্তি এবং অর্থনীতি বা গণিত বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, চলতি শিক্ষাবর্ষ (২০২১-২২) পর্যন্ত পাঁচটি ইউনিটে (ক, খ, গ, ঘ ও চ) ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৷ সময়, শ্রম ও অর্থ সাশ্রয়ের যুক্তি দিয়ে চলতি বছরের শুরুতে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ঘ ইউনিট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ শুরুতে অনুষদের শিক্ষকেরা আপত্তি জানালেও পরে ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের’ বিষয়টি তাঁরা মেনেই নেন৷