সাত কলেজে সংকট কাটেনি, শিক্ষকদের ৫ দিনের কর্মসূচি শুরু 

রাজধানীর তোপখানা রোডে মেহেরবা প্লাজায় অবস্থিত শিক্ষাবিদ ইনস্টিটিউটে সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ১ ডিসেম্বর ২০২৫ছবি: আয়োজকদের সৌজন্যে

রাজধানীর বড় সাত কলেজ ঘিরে সৃষ্ট সংকট কাটেনি। এই কলেজগুলো নিয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোর বিরোধিতা করে আন্দোলন করছেন শিক্ষকেরা। সরকার দাবি না মানলে তাঁরা সব সরকারি কলেজে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজ একীভূত করে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘স্কুলিং মডেল’ বাতিল এবং স্বাতন্ত্র্য কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে একাডেমিক ও প্রশাসনিক পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

প্রথম দিনে গতকাল মঙ্গলবার মাউশি প্রাঙ্গণে গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি হলেও বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। আজ তাঁরা সারা দেশের সব সরকারি কলেজে মানববন্ধন, ৪ ডিসেম্বর সাত কলেজে কর্মবিরতি (পরীক্ষা আওতার বাইরে) এবং ৬ ডিসেম্বর শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন।

এরপরও দাবি উপেক্ষা করে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে দেশের সব সরকারি কলেজ ও দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি (টোটাল শাটডাউন) শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন

আগে থেকেই ঢাকার এই সাত সরকারি কলেজে সংকট বিরাজ করছে। ২০১৭ সালে যথেষ্ট প্রস্তুতি ছাড়াই এগুলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। সরকারি এই কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ।