বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং ও শিক্ষার্থী নির্যাতন যেন না হয়, পরামর্শ ইউজিসির

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি কর্মপরিকল্পনার বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন পর্যালোচনা–সংক্রান্ত একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে ইউজিসি
বিজ্ঞপ্তি

উচ্চশিক্ষা প্রসারে আগে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা যায় ও গ্র্যাজুয়েটরা যাতে বিশ্ব চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং ও শিক্ষার্থী নির্যাতন যেন না হয়, সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তিনি।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কর্মপরিকল্পনার বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন পর্যালোচনা–সংক্রান্ত একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর এ কথা বলেন। আজ সোমবার ইউজিসিতে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, দেশে অনেক সময় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই ছাড়াই বিভিন্ন বিষয়ের ওপর উচ্চশিক্ষা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে নানা সংকট তৈরি হচ্ছে ও শিক্ষার মান নিম্নমুখী হচ্ছে। কাজেই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সক্ষমতা তৈরি করে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করা উচিত।

মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনসংকট তৈরি করে হল নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। সরকার প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুণগত শিক্ষা ও মানসম্মত গবেষণা পরিচালনা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কীভাবে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা যায় ও গ্র্যাজুয়েটরা যাতে বিশ্ব চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারেন, সেদিকে নজর দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যেন গবেষণামুখী হন ও আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা প্রকাশিত হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষকে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান মুহাম্মদ আলমগীর। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে কোনো ধরনের র‌্যাগিং ও শিক্ষার্থী নির্যাতন না হয়, সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিবেচনায় নিতে হবে।

কমিশনের সচিব ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউজিসির উপসচিব ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামান। প্রশিক্ষণে ইউজিসির জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও নৈতিকতা কমিটির ফোকাল পয়েন্টরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় কর্মপরিকল্পনার বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি