ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ফেরত পাঠাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন আদেশটি অসাংবিধানিক হবে
সাংবিধানিক বাক্স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করবে
সম্ভবত আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে আদেশটি
যুক্তরাষ্ট্রে যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী গাজায় ইসরায়েলের হামলার পরে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাহী আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন ইহুদিদের বিরুদ্ধে হুমকি, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও সহিংসতাকারীদের জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে পারবে ট্রাম্প সরকার। এরই মধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এ–সংক্রান্ত ফ্যাক্ট শিটে প্রবাসী ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আপনারা যাঁরা জিহাদপন্থী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন, আমরা আপনাদের নজরদারিতে রেখেছি। আপনাদের খুঁজে বের করব এবং নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামাসের প্রতি সহানুভূতি দেখানো সব বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাতিল করা হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলনকারীদের মুখ বন্ধ করার একটি কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এ পদক্ষেপ সাংবিধানিক বাক্স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করবে এবং সম্ভবত আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে।
এদিকে একটি বড় মুসলিম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন কাউন্সিল জানিয়েছে, ট্রাম্প যদি এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন, তবে তাঁরা আদালতে এ আদেশকে চ্যালেঞ্জ করার কথা বিবেচনা করবেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হয়। এর প্রতিবাদে বিশ্বের অনেক দেশেই প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ হয়। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়। আমেরিকাসহ ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। আমেরিকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। এ জন্য অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থাও নেয়।