চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের আসন বরাদ্দপ্রক্রিয়া স্থগিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের আসন বরাদ্দের প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। অনিবার্য কারণ দেখিয়ে আজ শনিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। পরে এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে।  

এর আগে গত বুধবার রাতে আবাসিক হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।

একই সঙ্গে আজ শনিবার থেকে হলের আসন বরাদ্দের আবেদনও অনলাইনে শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। তাঁরা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন। নতুন উপাচার্য নিয়োগ পাওয়ার পর হলের আসন বরাদ্দ শুরু করতে হবে বলে দাবি তাঁদের। এই দাবিতে গতকাল থেকেই উপাচার্যের বাসভবন, প্রক্টরের কার্যালয় ও মূল ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে প্রক্টরিয়াল বডি ও তিন হলের প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এই প্রশাসনকে দায়িত্বে রেখে হল বরাদ্দ শুরু করা হলে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠী সুবিধা পেতে পারে। তাই তাঁরা নতুন প্রশাসনের কাছেই হল বরাদ্দের দাবি করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে আসন বরাদ্দের অনলাইন প্রক্রিয়া রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে আইসিটি সেল। স্থগিতের বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অনলাইনে আবেদনপ্রক্রিয়া স্থগিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ কারণে তাঁরা স্থগিত করেছেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছেন। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আসন বরাদ্দের প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন