বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকারে ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগের পরামর্শ ইউজিসির চেয়ারম্যানের
যৌন হয়রানি, র্যাগিং, অনিয়মসহ নানা ধরনের অভিযোগ তদন্তে প্রথিতযশা নাগরিকদের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যায়পাল নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর। আজ মঙ্গলবার ইউজিসিতে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে এক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আলমগীর এ কথা বলেন। এ ছাড়া অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা, ব্যক্তির সুরক্ষা ও গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য একটি নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম তৈরিরও পরামর্শ দেন তিনি, যা একমাত্র ন্যায়পাল দেখতে পারবে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকারে প্রযুক্তির সহায়তা গ্রহণ করতে পারে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রতিকারের আগে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের পরিচয় গোপন রাখা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরপরও যৌন হয়রানি রোধ করা যায়নি। ইউজিসি সম্প্রতি বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনা তদন্ত করেছে এবং সুপারিশ বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়েছে। অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিয়মিত অবহিতকরণ সভা করার পরামর্শ দেন তিনি।
ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক শামসুল আরেফিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, উপপরিচালক ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট মৌলি আজাদসহ ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ইউজিসির কর্মকর্তারা।