সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড বিজনেস অ্যালায়েন্স, চুয়েটের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পর্যায়ের সাপ্লাই চেইন ও ব্যবসাসংক্রান্ত সমস্যা সমাধান প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের সম্মেলনকক্ষে দেশের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন করপোরেট ব্যক্তির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রথম সাপ্লাই চেইন এবং ব্যবসাসম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিষ্ঠিত সংগঠন সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড বিজনেস অ্যালায়েন্স, চুয়েট।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে ওই দিন সকাল ৯টায় ‘বিপণন বিতরণ ও চাকরিদাতাদের চাহিদা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা ট্র্যাক লিমিটেড কোম্পানির রিটেইল সেলস বিভাগের প্রধান মো. আল-আমিন সরকার এবং ‘নগদ’–এর পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদ উল্লাহ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিপোলার অটোমেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর, বাংলা ক্যাট কোম্পানির ইলেকট্রিক পাওয়ার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জয়দেব নাথ, ভোল্ট মিলিস এনার্জি লিমিটেডের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক আরিফুর রহমান, পার্টিকলস বাংলাদেশ লিমিটেডের বিপণন বিভাগের প্রধান মো. আহসান হাবিব, হ্যাংগার্স প্লাস বাংলাদেশ লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম, হান্টসম্যান বিডি পিটিই লিমিটেডের সাপ্লাই চেইন লিড আদনানুল হাদি সিকদার প্রমুখ। পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারবিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আগত করপোরেট ব্যক্তিরা।
৩১টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০৪টি দল প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। নির্বাচিত ১৫টি দল গতকাল সমাপনী পর্যায়ে নিজেদের প্রজেক্ট উপস্থাপন করে। বিচারকেরা তিনটি দলকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীরা চাকরিক্ষেত্রে বা উদ্যোক্তা হওয়ার পথে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। যদি আগে থেকেই সাপ্লাই চেইন এবং ব্যবসাসম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের অভ্যাস থাকে, তাহলে তাঁদের জন্য কর্মক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের পথে এই অভিজ্ঞতা কাজে দেয়। বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের যাঁরা করপোরেট সেক্টরে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তাঁদের মধ্যে নেটওয়ার্কের মেলবন্ধনের লক্ষ্যেও কাজ করছে এ ধরনের কার্যক্রম।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে বেলা তিনটায় প্রতিযোগীদের সাপ্লাই চেইন ও ব্যবসাসংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে প্রতিযোগিতা ‘বিজমাইনার ১.০’–এর সমাপনী পর্ব শুরু হয়। একে একে প্রতিটি দল সমাধান উপস্থাপনা শুরু করেন।
এর আগে ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০৪টি দল প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। নির্বাচিত ১৫টি দল গতকাল সমাপনী পর্যায়ে নিজেদের প্রজেক্ট উপস্থাপন করে। বিচারকেরা তিনটি দলকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ভিঞ্চি ডেসাইফার, প্রথম রানার আপ হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ফোনিক্স এবং দ্বিতীয় রানার আপ চুয়েটের থিংক বিজনেস।
পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ১৫ হাজার টাকা, প্রথম রানার আপ দল পেয়েছে ১২ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার আপ দল পেয়েছে ৮ হাজার টাকা।
রাতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক রেজাউল করিম এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দীন আহমদ। পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ১৫ হাজার টাকা, প্রথম রানার আপ দল পেয়েছে ১২ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার আপ দল পেয়েছে ৮ হাজার টাকা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শাকিল আহমাদ ইকবাল প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, ‘দেশের ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান ও ভবিষ্যতের বিভিন্ন বাস্তবধর্মী সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি এর সমাধান সম্পর্কে ভবিষ্যৎ করপোরেট কর্মকর্তাদের সচেতন করাই এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য।’