জগদীশ বসুর নামে করা ভবনের নাম পাল্টানো কল্পনার বাইরে: শিক্ষা উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ কয়েকটি হলের নাম পরিবর্তনের ঘটনায় তিনি মর্মাহত। তিনি বলেন, ‘জগদীশচন্দ্র বসুর নামে করা ভবনের নাম পাল্টানো হবে, এটা কল্পনার বাইরে। আমি আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা মিলে এর প্রতিকার করবে।’
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ১৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এবারের সমাবর্তনে ৪ হাজার ৮২৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুজনকে ‘চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক’ এবং ২৮ জনকে ‘ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে জগদীশ বসুর গল্প শুনেছি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জগদীশচন্দ্র বসু, তাঁর মতো বিজ্ঞানীর নামে করা ভবন-স্থাপনা ছিল, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করেছে। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্রের নামে স্থাপনা ছিল। তাঁর পাশাপাশি আরও কয়েকজনের নামে করা স্থাপনার নামও বদলানো হয়েছে। এটি আমাকে মর্মাহত করেছে।’
সমাবর্তন বক্তা অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংবাদিক শারমিন ওবায়েদ চিনয় বলেন, ‘ব্যর্থতাই সাফল্যের পথ তৈরি করে দেয়। কারণ, একটা পথ বন্ধ হলে প্রকৃতির নিয়মেই আরেকটা পথ খুলে যায়।’
সমাবর্তনে ভেলিডিক্টোরিয়ান বক্তব্য দেন চ্যান্সেলর স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী শিহাব মুহতাসিম। তিনি বলেন, সত্যিকারের সাফল্যের জন্য যেকোনো কাজে আনন্দ খুঁজে পাওয়া জরুরি।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ বলেন, টেকসই পরিবর্তনের জন্য নৈতিক নেতৃত্ব, সংবেদনশীল মানুষ তৈরি এবং অন্যদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করা প্রয়োজন।
সমাবর্তনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপচার্য ফারহাত আনোয়ার। এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্পনসরদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পূবালী ব্যাংক। হট বেভারেজ পার্টনার হিসেবে ছিল এমএম ইস্পাহানি লিমিটেড।