মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা নির্ধারণ করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন

হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত ১০ দফা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মোট ভর্তি শিক্ষার্থীর মধ্যে আন্তর্জাতিক স্নাতক শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে নাছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে একের পর এক কঠোর নির্দেশনা জারি করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার সীমিত করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যে তাদের মোট ভর্তি শিক্ষার্থীর মধ্যে আন্তর্জাতিক স্নাতক শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত ১০ দফা নির্দেশিকায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

নতুন নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কোনো একটি দেশ থেকে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি থাকবে। বর্তমানে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ শতাংশের বেশি, তাদের নতুন ব্যাচে এই ভর্তি নীতিমালা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। এই নিয়মের সঙ্গে ফেডারেল অর্থায়ন, টিউশন ফি স্থির রাখা, বৈচিত্র্য রক্ষা ও ‘আদর্শিক সামঞ্জস্য’ শর্ত জড়িত থাকবে। যেসব প্রতিষ্ঠান এই শর্ত মানবে, তারা ‘বৃহৎ ও কার্যকর ফেডারেল অনুদান’ পাবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

‘আমেরিকান ও পশ্চিমা মূল্যবোধ’ মেনে চলার শর্ত

বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘আমেরিকান ও পশ্চিমা মূল্যবোধ’ সমর্থনের প্রত্যাশা করা হয়েছে। এ ছাড়া ভর্তির আগে তাদের যুক্তরাষ্ট্র বা মিত্রদেশগুলোর প্রতি ‘বিরূপ মনোভাব’ আছে কি না, তা যাচাই করার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাভঙ্গসংক্রান্ত তথ্যসহ সব ধরনের রেকর্ড হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ও পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আইনি ঝুঁকি

ভ্যান্ডারবিল্ট, ডার্টমাউথ, এমআইটি, ব্রাউন, ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে এ–সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করবে। কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভঙ্গ করলে তারা ফেডারেল সুবিধা হারাতে পারে।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে একের পর এক কঠোর নির্দেশনায় বিপাকে অন্য দেশের শিক্ষার্থীরা
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

মানবাধিকারকর্মীদের উদ্বেগ

অধিকারকর্মীরা বলছেন, এই নীতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাক্‌স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও একাডেমিক স্বাধীনতার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রো-প্যালেস্টাইন শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে এই নীতি আরও বিতর্কিত হয়ে উঠতে পারে।

আরও পড়ুন