ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নীতিমালা চূড়ান্ত, গবেষণায় চুরির শাস্তি চাকরিচ্যুতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রথম আলো ফাইল ছবি

গবেষণা ও প্রকাশনায় স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেইজারিজম’ শীর্ষক একটি নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। গতকাল মঙ্গলবার সিন্ডিকেট সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সিন্ডিকেট সভা।

সিন্ডিকেটে অনুমোদিত চৌর্যবৃত্তির নীতিমালার বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্যরা বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেইজারিজম’ শীর্ষক নীতিমালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ডিনস কমিটির সভায় এটি উত্থাপন করা হয়।

গতকাল সিন্ডিকেটও এর অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশে এ ধরনের নীতিমালা এটাই প্রথম। গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি প্রমাণিত হলে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী চাকরিচ্যুতি, ডিগ্রি বাতিল, পদাবনতি, দীর্ঘ সময় কাজ থেকে বিরত রাখা এবং জরিমানাসহ বিভিন্ন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে নীতিমালায়।

গতকালের সিন্ডিকেট সভায় অননুমোদিতভাবে দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করার অভিযোগে ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক ক্ষণিকা গোপের শাস্তি নির্ধারণে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। দুই সিন্ডিকেট সদস্যের ভাষ্য, বিনা অনুমতিতে দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান করার অভিযোগ জানাজানি হলে গত বছর ক্ষণিকার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। গতকালের সিন্ডিকেট সভায় সেই কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। পরে শাস্তি নির্ধারণে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। যদিও গত বছরের অক্টোবরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।