বিদেশি শিক্ষার্থীদের ইচ্ছেমতো কাজ করার অনুমতি দিল কানাডা

কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীছবি: সংগৃহীত

কানাডার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশিসহ বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ উঠিয়ে দিয়েছে সরকার। এখন বিদেশি শিক্ষার্থীরা বেশি সময় ধরে কাজ করতে পারবেন। এর আগে বিদেশি শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবর্ষ চলাকালে ক্যাম্পাসের বাইরে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারতেন। এখন আর সেই বিধিনিষেধ থাকছে না।

কানাডাতে এ মুহূর্তে বেকারত্ব ৫ শতাংশ। এই ৫ শতাংশের বেশির ভাগই ইচ্ছা করে কাজ করেন না, ফলে কানাডাজুড়ে কাজ করার লোকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কানাডা কোভিড-১৯–এর কারণে কাঙ্ক্ষিত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কানাডা আনতে পারেনি। কয়েক লাখ আবেদন সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় পড়ে আছে। ফলে গত দুই বছর এখানে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের পিআর (পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি) দিয়ে তাঁদের ইমেগ্রশনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে কানাডা। তারপরও শ্রমবাজারে কাজের লোকের স্বল্পতা থাকার কারণে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে কাজের ২০ ঘণ্টার লিমিট উঠিয়ে দিচ্ছে। এ সুযোগ গ্র্যাজুয়েশন লেভেলের শিক্ষার্থীরা পাবেন।

১৫ নভেম্বরের পর থেকে বিদেশে শিক্ষার্থীরা তাঁদের সুবিধামতো বেশি ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন।

৭ অক্টোবর কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ববিষয়ক মন্ত্রী সেয়ান ফ্রেজার এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এ ঘোষণা আগামী বছরের (২০২৩) ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এখন যেসব শিক্ষার্থী কানাডায় বসবাস করছেন, তাঁরা বেশি কাজ করার সুবিধা পাবেন।

মন্ত্রী সেয়ান ফ্রেজারের এ ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে কানাডায় পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করেছে। তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, কানাডায় টিউশন ফি, জীবনযাপন ব্যয়ের কষ্ট অনেক হওয়ার কারণে আগের সাপ্তাহিক ২০ ঘণ্টা কাজ করে তাঁদের খরচ ওঠানো সম্ভব হতো না। সরকারের এ ঘোষণার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ আর নিজ দেশ থেকে আনতে হবে না।

কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থী
ছবি: সংগৃহীত

কানাডায় বর্তমানে ১০ লাখ চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ বছরে কানাডায় ৪ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে স্থায়ী বাসিন্দা (পিআর) হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে। আর ২০২৪ সালে এ সংখ্যা বেড়ে হবে ৪ লাখ ৫০ হাজার।

কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মেহরাজ হোসাইন তপু জানান, এখন থেকে তিনিসহ অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর আর পিতা-মাতার কাছ থেকে টাকা আনতে হবে না; বরং কঠোর পরিশ্রম করলে তাঁরা দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।